দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পুরভোটের এখনও সূচি ঘোষণা হয়নি। কিন্তু পুরভোট কতটা শান্তিতে হবে তা নিয়ে এর মধ্যেই প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজ্যপাল ।
বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বক্তৃতা নিয়ে যতটা সংঘাতের আশঙ্কা করা হয়েছিল তার ছিটেফোঁটাও হয়নি। বরং রাজ্যের লিখে দেওয়া ভাষণ হুবহু পড়ে যান রাজ্যপাল। তারপর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চাও খান রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্যে পুরভোট কতটা শান্তিতে হবে তা নিয়ে নিজের আশঙ্কার কথা গোপন করলেন না রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে ধনকড়ের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “নোবেলজয়ীর বাংলাকে কী ভাবে সন্ত্রাসের ডেরা বানানো যায় তার বন্দোবস্ত চলছে।” এর আগেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যপাল। এদিন ফের একবার সেই কথা বললেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, তাঁকে যেন কেউ সমালোচক না ভাবেন। বরং রাজ্যের গঠন মূলক পরামর্শদাতা হিসাবে তাঁকে যেন ভাবা হয়। তাঁর মতে, রাজ্যপাল ও সরকার একই গাড়ির দুটি চাকা। দু’জনকেই একই সঙ্গে চলতে হবে। তিনি সরকারের কাজ আটকাবেন না। সংবিধানের লক্ষণ রেখার মধ্যে থেকেই যা করার করবেন।
রাজ্যপাল এদিন আরও বলেন, কাগজ ছাড়াই অর্থবিলের অনুমোদন চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু তিনি দেননি। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র গিয়ে তাঁর কাছে কাগজ ছাড়াই বিলে সই করে দেওয়ার অনুরোধ করেন বলেও জানান ধনকড়। তাঁর কথায়, “আমি সে সব করিনি। সচিবকে বলেছিলাম কাগজ নিয়ে আসতে। তারপর সই করেছি।”
বাজেট অধিবেশনের বক্তৃতা নিয়ে রাজ্যের কাছে একাধিক পরিচ্ছেদ ও শব্দ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু নবান্ন তা মানেনি। স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই ভাষণে সিলমোহর পরে গিয়েছে। তাতে আর বদল সম্ভব নয়। রাজ্যপাল বলেছিলেন, তিনি কিছু জায়গায় সংযোজন করবেন।
বিধানসভায় ইতিহাস হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। কিন্তু সেসব কিছুই হয়নি। তবে এদিন রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিলেন ওটা ব্যতিক্রমই ছিল।