একুশে ফেব্রুয়ারি,শূন্যরেখায় ফের মিলন দুই বাংলার

0
922

পার্থ সারথি নন্দী,পেট্রাপোল: বাংলা ভাষার অধিকার আদায়ের দিনটিতে দুই বাংলার মোহনা পেট্রাপোলের এই মিলনমেলায় এক সময়ের এক থাকার সুরই যেন বেজে উঠল দু’পারের বাংলাভাষীদের মনে।

“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্র‌ুয়ারি আমি কি ভুলতে পারি?”ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু ঝরা এ ফেব্র‌ুয়ারি আমি কি ভুলতে পারি?আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্র‌ুয়ারিআমি কি ভুলতে পারি?”

শুক্রবার সকাল থেকেই গান, আবৃত্তি আর দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী-রাজনীতিবিদ ও সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষের সমরোহে মুখর হয়ে ওঠে পেট্রাপোল- বেনাপোল শূন্যরেখা।
অমর একুশের অমর সুরের সঙ্গে দু’পারের মঞ্চ থেকে ভেসে আসা “একই আকাশ, একই বাতাস/এক হৃদয়ে একই তো শ্বাস” গানের সুর যেন বেঁধে রাখে সবাইকে।

স্বাধীনতা পেলাম মাতৃভূমিকে ত্রিখন্ডিত করে। দেশে দেশে সংবিধান তৈরী হল, শরীরের অংশ হয়ে গেল প্রতিবেশী দেশ! ইংরেজ নিদানকে ও তৎকালীন দেশীয় নেতৃবৃন্দের প্রবল ইচ্ছায় বেশিরভাগ হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত মূল অঞ্চল হল ভারত, আর তার দুই পাশে অধিকাংশ মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত বসতি অঞ্চল হল যথাক্রমে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান। শাসনতান্ত্রিক নিয়মে ভারত বিভক্ত হল বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে – যেখানে মাতৃভাষা পেল প্রাধান্য।

অন্যদিকে, পশ্চিমে পাকিস্তানের ঊর্দুভাষীরা ধর্মের দোহাই দিয়ে উপনিবেশবাদী ভাবধারায় পূর্ব পাকিস্তানকে করায়ত্ত করতে চাইল ঐ ভাষাকে আশ্রয় করেই।
পূর্ববঙ্গের বাঙালি মুসলমান সম্প্রদায় মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্যুত এক অনাথ শিশুর মতো- যার শেষ সম্বল বলতে মাতৃভাষা – ব্যাথা-বেদনায়, বিষাদ ও অশ্রুতে। সেই সম্বলটুকু হারানোর আশঙ্কায় মাতৃভাষার সম্মান রক্ষা, স্বীকৃতি এবং আত্মপ্রতিষ্ঠায় শুরু হল আরেক যুদ্ধ, যা স্বাধীনতার যুদ্ধ অপেক্ষা কোনও অংশে কম নয়।

আসলে দ্বিজাতিতত্ত্ব ও স্বাধীনতা প্রাপ্তির মধ্যে দিয়েই ভাষা আন্দোলনের বীজ বপন হয়ে গিয়েছিল, শুরু হয়েছিল ভাষা বিক্ষোভ ১৯৪৭’র নভেম্বর-ডিসেম্বরেই। তারপর, ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্র‌ুয়ারি (বাংলা ৮ই ফাল্গ‌ুন ১৩৫৮) অধুনা বাংলাদেশের সেই রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, যার স্বীকৃতি পরবর্তীকালে পথ দেখালো সারা পৃথিবীকে, হয়ে রইল এক অবিস্মরণীয় দৃষ্টান্ত। ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর জাতিসংঘের শিক্ষা-বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা, ইউনেস্কো ২১শে ফেব্র‌ুয়ারি “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” হিসাবে স্বীকৃতি দিল। ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের ১৮৮ টি দেশে এই দিনটি পালিত হচ্ছে

আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস হিসাবেই। কারণ, এ তো শুধু বাংলা ভাষার আন্দোলন নয়, মায়ের ভাষা, গানের ভাষা, আবেগের ভাষা, সাহিত্যের ভাষা পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় শহিদদের প্রতিটি রক্তবিন্দু মাতৃদুগ্ধকে করিয়েছিল স্মরণ প্রতিটি বাংলাভাষীর মনে এবং প্রাণে।
আমরা তখন নব্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত এবং ভাষাগত রাজ্য বিভাগীয় শাসন ব্যবস্থার অধীনে থেকে দেশের অগামী ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম ঠিকই, কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের মতো আলাদা রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সেই সময় বাংলা ভাষার এ দেশীয় নাগরিকদের সরাসরি যোগদানের কতটুকুই বা অধিকার ছিল। পরবর্তীকালে বুঝেছি, মাতৃভষার স্বীকৃতি ও আত্মপ্রতিষ্ঠা কত মূল্যবান!

গর্বিত বাংলাদেশবাসী এখনও স্বীকার করেন, গত শতাব্দীতে তাদের দুটি শ্রেষ্ঠ অর্জন – স্বাধীনতা এবং মাতৃভাষার স্বীকৃতি। আর দুটি ক্ষেত্রেই আন্দোলন হয়েছে রক্তক্ষয়ী। এই কারণেই স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও “শহিদ” হন আবুল বরকত, রফিকউদ্দিন আহমদ, আবদুল জব্বার, শফিউর রহমান, আবদুল আউয়াল, আহিউল্লাহ, আবদুস সালাম’রা।

তথ্য থেকে আরও জানা যায় যে, বাংলা ভাষা রক্ষায় কেবলমাত্র বাংলাদেশের মানুষই নন, পরবর্তী সময়ে ১৯৬১ সালের ১৯শে মে’তে অসমের শিলচর শহরে অসম রাইফেলসের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১১ জন ভাষাবিপ্লবী। যার পরিণামে ঐ রাজ্যে এখন বাংলা হয় দ্বিতীয় রাজ্য ভাষা। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩০ কো২০০৯ সালে জাতিসংঘ প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী এই ৬ হাজার ভাষার মধ্যে ভাষাতত্ত্ববিদদের ধারণা, আগামী প্রায় ১০০ বছরের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ভাষার বিলুপ্তি ঘটবে।

পৃথিবীতে এমন প্রায় ৫১ টি ভাষা আছে যেগুলিতে মাত্র ১জন করে ব্যবহারকারী আছেন। এই অবস্থায়, ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত The Summer Institute of Linguistics\’রটি মানুষের ভাষা হল বাংলা। এই ভাষাতেই রবীন্দ্রনাথ লিখে গেছেন দুই দেশের দুই জাতীয় সংগীত, “জনগণমন অধিনায়ক জয় হে….” আর “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি….”।

বাংলাদেশ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, কমবেশি অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্য, মিয়ানমারের আরাকান অঞ্চলের রোহিঙ্গারাও বাংলা ভাষায় কথা বলেন। আবার, আফ্রিকার সিয়েরা লিয়েনে বাংলা হল দ্বিতীয় সরকারী ভাষা। তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্য এই নয় যে, অন্য ভাষাভাষীদের কাছে বাংলাভাষার গুরুত্ব বা প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা। পরিবর্তে শুধু এই বিষয়টার প্রতি নজর দেওয়া যে, বিভিন্ন ভাষাভাষী এই ভারতে যত মাতৃভাষা রয়েছে সেগুলির গুণমান ও উৎকর্ষতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাতৃভাষা কি তার মাধুর্য হারাচ্ছে? ভাষার ঐক্য, সম্প্রীতি, ভাষার মৌলিক অধিকার শিক্ষা, মানসিক ও নৈতিক বিকাশ এবং সর্বোপরি মাতৃভাষার প্রতি ভালবাসা – এই দিকগুলির প্রতি নজর রাখার সময় এসেছে হয়ত। কারণ, বিশ্বের প্রায় ৭০০ কোটি মানুষ আনুমানিক ৬০০০ ভাষায় কথা বলেন।

২০০৯ সালে জাতিসংঘ প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী এই ৬ হাজার ভাষার মধ্যে ভাষাতত্ত্ববিদদের ধারণা, আগামী প্রায় ১০০ বছরের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ভাষার বিলুপ্তি ঘটবে। পৃথিবীতে এমন প্রায় ৫১ টি ভাষা আছে যেগুলিতে মাত্র ১জন করে ব্যবহারকারী আছেন। এই অবস্থায়, ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত The Summer Institute of Linguistics’র তথ্য অনুযায়ী ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাভাষার স্থান বিশ্বে চতুর্থ।


প্রশ্ন থেকেই যায়, সংখ্যা দিয়ে কি মাতৃভাষার উৎকর্ষতাকে প্রকাশ করা সম্ভব? তাছাড়া, শুধু বাংলাভাষাই কেন? অন্যান্য ভাষার ক্ষেত্রে কথা-লেখা ও ব্যবহারিক দিক থেকে মাতৃভাষা কি ক্রমবর্ধমান উৎকর্ষতায় বিরজমান? এর উত্তর খোঁজা অপেক্ষাকৃত সহজ আমাদের মতো ভিন্ন ভাষাভাষী দেশের প্রেক্ষিতে।

কথা, লেখা, বানান-সহ ব্যাকরণগত অনেক কিছুকে যে সরলীকরণ প্রথায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে তাতে মাতৃভাষার মাধুর্য নষ্ট হচ্ছে না তো? আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ কি চায় তা দিয়েই কি ঠিক হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাতৃভাষা কি হবে? আন্তর্জাতিক প্রভাবের অর্থনৈতিক আকর্ষণ থেকেও কি মাতৃভাষা নিজেকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম? প্রশ্নগুলি কিন্তু ইতিমধ্যেই দানা বাঁধতে শুরু করেছে!
২০০২ সালে ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দুই বাংলার ‘ভারত-বাংলাদেশ গঙ্গা-পদ্মা ভাষা ও মৈত্রী সমিতির’ উদ্যোগে সীমান্তবর্তী প্রায় ২৫টি সংগঠন পেট্রাপোল-বেনাপোলের এই মিলন মেলার সূচনা করে।

বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান দেশের সময় কে জানান , ১৮ বছরে এসে বড়েছে এ মিলনমেলার পরিধি, তৈরি হয়েছে আস্থা ও ভালোবাসার বন্ধন।পার বাংলার বেনাপোল পৌরসভা আর এপারের বনগাঁ পৌরসভার যৌথ এ আয়োজনে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরের রপ্তানি টার্মিনালে তৈরি করা হয় একটি মঞ্চ। আর বেনাপোলের শূন্য রেখা থেকে মাএ ২০০ মিটারের দূরত্বে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একুশে মঞ্চ’। ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীরা এই দু’ই মঞ্চে বসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন৷কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও কয়েক ঘণ্টার জন্য যেন উধাও হয়ে যায় সীমান্তের কাঁটাতার; দুই বাংলার মানুষ সীমান্তে মিলিত হয় আলিঙ্গনে; মেতে ওঠে আড্ডায়-স্মৃতিচারণে।

এদিন সকালে আয়োজকরা আগে থেকেই নিজ নিজ ভূখণ্ডে অপেক্ষায় থাকেন ঘড়িতে যখন সকাল ৯টা, তখন সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে পা রাখবেন পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁ দঃক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস, প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ, বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য, প্রাক্তন চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আঢ্য সহ কবি-শিল্পী-সাংবাদিক সাহিত্যিকদের একটি প্রতিনিধিদল।

ওপার বাংলার ৮৫ যশোর-১ শার্শা আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন ,শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২১ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব নূরুজ্জামান,অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকছেন স্থানীয়,পল্লী ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য,হোসাইন চৌধুরী, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, যশোরের পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, বেনাপোলস্থলবন্দরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব /ট্রাফিক) আব্দুল জলিল, যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সেলিম রেজা, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল, শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু ও শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুজ্জামান।

বিএসএফ সূত্রে জানাযায় অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভারতের বেনাপোল সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান। তবে মানুষের চাপ সামলানো ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এবার আলাদা মঞ্চে হচ্ছে দুই বাংলার অনুষ্ঠান।

বনগাঁ ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেনন, সকাল সাড়ে ৯টার সময় পেট্রাপোল- বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অস্থায়ী শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ওপার বাংলার ৮৫ যশোর-১ শার্শা আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন এবং এপার বাংলার খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ তিনি আরও বলেন,
‘দুই বাংলার ভাষাপ্রেমী মানুষের চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এবার আলাদা আলাদা মঞ্চে একুশে উদযাপিত হবে। পেট্রাপোল চেকপোস্টে জায়গা অনেক কম। মানুষের চাপ থাকে অনেক বেশি। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খরা রক্ষাকারী বাহিনী হাজার হাজার মানুষের ধকল নিতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যায়। নানা দিক চিন্তা ভাবনা করে এবার আলাদা মঞ্চে ২১ উদযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

পঞ্চায়েত সদস্য পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে একই মঞ্চে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে এবার আলাদা মঞ্চে মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে। কিন্তু বেনাপোল চেকপোস্টের জিরো লাইনে অবস্থিত অস্থায়ী শহীদ বেদীতে একই সঙ্গে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবেন দুই বাংলার প্রতিনিধিরা।’ থাকছেন দু’বাংলার কবি-শিল্পী-সাংবাদিক সাহিত্যিকরা ফুল দিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাতে।

পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, “বাঙালির অর্জনকে দুই বাংলা একসঙ্গে পালন করছি, এটা খুবই গর্বের বিষয়। দুই দেশের সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও মৈত্রীতে এটা অনুপ্রেরণা যোগাবে।”

খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “একুশের গৌরবের উত্তরাধিকারী পৃথিবীর সব বাঙালি। এর ব্যাপ্তি শুধু ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, অনেক বিস্তৃত। ভাষার টানে বাঙালি জাতির নাড়ির টানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে এখানে ছুটে আসি প্রতি বছর।”

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে মতিগঞ্জ বি এস এফ ক্যাম্প মোড়ে শহীদ বেদীতে মোমবাতি প্রজ্বলন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই একুশ উদযাপনের সূচনা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ দের কথায়, শত প্রশ্নের মাঝেও এদিনটা এলেই,ফুল হাতে সকাল বেলা ছুটে যাই শহীদ বেদীর কাছে, কারণ,আজ আমাদের মাতৃ ভাষা দিবস।

এতো প্রশ্ন চিহ্নের মাঝেও ‘একুশ’ নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই দু’বাংলার শূন্য রেখায়৷

Previous articleহাবরায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আরও কাজ করতে উৎসাহিত করলেন খাদ‍্যমন্ত্রী
Next articleভাষা শহীদদের স্মরণে ক্যা বিরোধী আন্দোলনের ডাক জ্যোতিপ্রিয়র

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here