দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সিইএসসি গ্রাহকদের উপর থেকে বোঝা কমল। এই মাসের বিল থেকে শুধু মাত্র জুনে ব্যবহার করা বিদ্যুতের খরচই দিতে হবে। জুন মাসের বিলে এপ্রিল ও মে মাসের যে টাকা যুক্ত করা হয়েছে তা এখন দিতে হবে না।

চলতি মাসে ইলেকট্রিক বিল পেয়ে অনেক সিইএসসি গ্রাহকেরই মাথায় হাত পড়েছে। বিপুল পরিমাণ টাকার বিল পাঠিয়েছে সিইএসসি। এনিয়ে গত ক’দিন ধরেই প্রবল চাপের মধ্যে সংস্থা। তাদের যুক্তি ছিল জুন মাসের বিলের মধ্যে এপ্রিল ও মে মাসের বিলের অংশও যুক্ত করা হয়েছে। ওই সময়ে লকডাউন চলায় মিটার রিডিং হয়নি বলে অনেকের কাছেই কম টাকার বিল গিয়েছিল। এই যুক্তি দেখালেও চাপ একটুও কমেনি সিইএসসির উপর থেকে।

এবার রবিবার রাতে সিইএসসি টুইট করে জানাল, এখন পুরনো মাসের টাকা দিতে হবে না। শুধু মাত্র জুন মাসে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়েছে তার বিলই মেটাতে হবে। তবে এর জন্য নতুন বিল আসবে কিনা কিংবা এলে তা কবে আসবে সে ব্যাপারে এখন কিছুই জানানো হয়নি। সিইএসসির দাবি অনুযায়ী আগের দু’মাসের বকেয়া টাকা কীভাবে গ্রাহকদের থেকে নেওয়া হবে তা নিয়েও কিছু বলা হয়নি। একই সঙ্গে সিইএসসি জানিয়েছে এই সম্পর্কে খুব শীঘ্রই গ্রাহকদের বিস্তারিত জানানো হবে। তবে একটা বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, সর্বশেষ যে বিল পাঠানো হয়েছে তার ডিউ ডেট অর্থাৎ বিল জমা করার সময়সীমা বাড়ানো হবে। তবে এটা শুধুই ডোমেস্টিক কানেকশনের জন্য।

বাড়তি বিদ্যুতের বিল নিয়ে টানাপোড়েন কম হয়নি। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে লিখতে শুরু করেন। তাঁরা বিলের অঙ্ক জানিয়ে প্রতিকার চান। অনেকে আবার এই ব্যাপারে শাসক দলের চুপ থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। পরিস্থিতি আঁচ করে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করেন। এর পরে সিইএসসির এমডি (ডিস্ট্রিবিউশন) দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় গ্রাহকদের জানান, গ্রাহকেরা এখন বিলের ৫০ শতাংশ দিয়ে, পরের দু’মাসে ২৫ শতাংশ করে দিতে পারবেন। তবে তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। অনেকেই বলেন ‘ভুতুড়ে বিল’ পাঠিয়ে গ্রাহদের লুঠ করতে চাইছে সিইএসসি। এবার সেই চাপ থেকে বাঁচতে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা।

লকডাউনের পরে এখন অনেকের হাতেই টাকা নেই। এরই মধ্যে জুন মাসের ইলেকট্রিক বিল অনেকের কাছেই যেন মরার উপরে খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। যে সব গ্রাহকের কয়েকশ টাকা বিল আসে তাদের এসেছে কয়েক হাজার। বহু মধ্যবিত্তের কাছেই ৫০-৬০ হাজার টাকার বিল এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা সেই সব বিলের ছবি পোস্ট করে প্রতিকার চেয়েছেন। আবার সেই তালিকায় আছেন চলচ্চিত্র পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ও।

তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন তিনি ২০ হাজার টাকার বিল পেয়েছেন। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতেও এ বার স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি বিদ্যুতের বিল পাঠিয়েছে সিইএসসি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here