দেশের সময়: সম্প্রতি ইমামি কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটির উদ্যোগে ৩ দিনের জন্য অনুষ্ঠিত হয়ে গেল একটি আর্ট মেলা৷ যেখানে বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রখ্যাত চিত্রশিল্পীদের সহিত নবীন প্রজন্মের শিল্পীদের কাজও প্রদর্শিত হলো৷গ্যালারির উদ্যোগে বিভিন্ন আর্ট কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি কর্মশালারও আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে নবীন শিল্পীরা সরাসরি তাদের কাজ প্রদর্শনী ও বিক্রিরও সুযোগ পান৷
গ্যালারির উদ্যোগে এটিই তাদের প্রথম আর্ট মেলা। এখানে ভারতের স্নামধন্য শিল্পীদের সাথে সাথে নবীন প্রজন্মের শিল্পী এমনকি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন আর্ট কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের কাজও স্থান পেয়েছিল।
মেলার সমস্ত শিল্পীদের কাজই ছোট সাইজের ছিল। পেন্টিং, গ্রাফিক্স এবং স্থাপত্য সব ধরনের কাজ ছিল। গ্যালারির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে আর্টকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য তাদের এই উদ্যোগ। তারা আরও জানান অন্যান্য গ্যালারির মতন তারা শুধুমাত্র স্বনামধন্য শিল্পীদের শিল্পসম্ভারই তুলে ধরেননি বরং বর্তমান প্রজন্মের শিল্পীসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন আর্ট কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের কাজ এখানে তারা তুলে ধরেছেন।
মোট ২০০ জন শিল্পীর ১০০০ টি শিল্পসম্ভার এখানে তুলে ধরা হয়েছে। স্বনামধন্য শিল্পীদের মধ্যে শিল্পী যোগেন চৌধুরীর দুটি ড্রইং-এর কাজ ছিল। শিল্পী বীণা ভার্গব, শুভাপ্রশন্ন ভট্টাচার্য, ছত্রপতি দত্ত, সমীর আইচ, বিমল কুন্ডু, পার্থপ্রতিম দেব, পার্থ দাশগুপ্ত, অরুণিমা চৌধুরী, শিপ্রা ভট্টাচার্য, পঙ্কজ পানোয়ার, প্রশান্ত সাহু প্রমুখ বিশিষ্ট শিল্পীদের কাজ মেলায় স্থান পেয়েছিল।
নবীনদের মধ্যে অসীম পাল, সোমা দাস, অঙ্কন বন্দোপাধ্যায়, অঞ্জন মোদক, দশরথ দাস সহ বিভিন্ন শিল্পীর কাজ খুবই বলিষ্ঠ ছিল। এছাড়াও বিভিন্ন আর্টিস্ট গ্রুপের কাজ ছিল। তার মধ্যে সোসাইটি অব কনটেম্পোরারি আর্টিস্ট গ্রুপের সদস্যদের সরার উপরে চিত্র অঙ্কিত কাজগুলো এককথায় অনবদ্যতার দাবী রাখে।
বিশেষ করে শিল্পী মনোজ মিত্র, আদিত্য বসাক, অতীন বসাক, শ্রীকান্ত পালের কাজ আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।
মেলার পাশাপাশি মেলা চলাকালীন প্রতি
দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠান এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেমন বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা সহ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল তাতে বিশিষ্ট শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, আর্ট ক্রিটিক নানক গাঙ্গুলী উপস্থিত ছিলেন। শেষ দিনে শিল্পী সমীর আইচের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মেলার সমাপ্তি ঘোষিত হয়।