ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ব্যাট হাতে মাঠে তিনি বেশ আগ্রাসী। ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি একই মনোভাবের। সেই আগ্রাসনের সামনে পড়লে যে কোনো কিছু মুহূর্তে উড়ে যেতে পারে। মান-অপমান নিয়ে অবশ্য তিনি সচেতন। তবে কেউ তাকে দু’কথা শুনিয়ে দিলে তিনি পাল্টা দিতে ছাড়েন না। আর সেটা করতে গিয়েই অনেক সময় ঘটে বিপত্তি। বিরাট কোহলি নিজের উপর চাপ বাড়িয়ে ফেলেন। এবারের ব্যাপারটা সেরকমই। জন্মদিনে অ্যাপ লঞ্চ করে বিরাট চেয়েছিলেন সমর্থকদের সাথে যোগাযোগ বাড়াবেন। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়ে গেল। এক ক্রিকেট সমর্থকের বলা কথা বিরাট হজম করতে পারলেন না। ঠিকরে বেরিয়ে এলো বিরাটের আগ্রাসী-সত্ত্বা। আর তাতেই যাবতীয় গোলমালের সূত্রপাত।

ভক্তের টুইটে লেখা ছিল, ”বিরাট কোহলি ওভাররেটেড ব্যাটসম্যান। ওর ব্যাটিংয়ে আমি কিছু স্পেশাল দেখতে পাই না। ভারতীয়দের থেকে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দেখতে আমি বেশি পছন্দ করি।”

বিরাট তাকে পাল্টা দিয়ে লেখেন, ”আমার মনে হয় আপনার অন্য কোনো দেশে গিয়ে থাকা উচিত। আপনি এই দেশে বসবাস করবেন আর অন্য দেশকে ভালবাসবেন! আপনি আমাকে পছন্দ না-ই করতে পারেন। তাতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। কিন্তু আমার মনে হয় আপনার এই দেশ থেকে বেরিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে থাকা উচিত। আপনি সবার আগে নিজের অগ্রাধিকার ঠিক করুন।”

এমনিতে মাঠে বিরাটের আগ্রাসী মনোভাব নিয়েও বহুবার প্রশ্ন ওঠে। এবার মাঠের বাইরে তার এমন মনোভাব নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক। অনেকেই বিরাটের সমালোচনা করছেন। প্রত্যেকের বক্তব্য প্রায় এক, সমর্থকদের জন্যই আজ তিনি স্বনামধন্য বিরাট কোহলি। তাই সমর্থকদের প্রতি তার আরো বেশি সংবেদনশীল ও অনুভূতিপ্রবণ হওয়া উচিত। তা ছাড়া কাউকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলার অধিকার বিরাটের নেই। এমনও বলছেন অনেকে।

বিরাটের সমালোচকদের দলে এবার নাম লেখালেন দক্ষিণী অভিনেতা সিদ্ধার্থ। তিনি লিখলেন, ”আপনি যদি সত্যিই কিং কোহলি থাকতে চান, তাহলে এবার থেকে কিছু বলার আগে সতর্ক হোন। দরকার হলে রাহুল দ্রাবিড়ের থেকে শিখুন কীভাবে কথা বলতে হয়! ভারতীয় দলের অধিনায়ক কী করে এমন মূর্খের মতো মন্তব্য করেন!”

সিদ্ধার্থের সাথে গলা মিলিয়েছেন অনেকে। তাদেরও একই বক্তব্য, ভক্তদের প্রতি বিরাটের এরকম রুক্ষ কথাবার্তা মেনে নেয়া যায় না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here