দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার নতুন সংসদ ভবনের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হবে এর নির্মাণ। খরচ পড়ছে ৯৭১ কোটি টাকা। শিলান্যাসের পর মোদি বললেন, নতুন এই সংসদ ভবন ‘‌আত্মনির্ভর ভারতের সাক্ষী’‌ থাকবে।

‘‌নতুন এবং পুরনোর সহাবস্থান’‌ হবে এখানে। 
কর্নাটকের শ্রীঙ্গেরি মঠের পুরোহিতরা এদিন শিলান্যাসের ভূমি পুজো করেছেন। করোনা বিধি মেনেই চলছে অনুষ্ঠান। নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া গেটের অদূরে শুরু হয়েছে সর্ব ধর্ম প্রার্থনাসভা। তবে শিগগিরই ভবনের নির্মাণ শুরু হবে না। কারণ এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে ঝুলছে। 


২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতা পাওয়ার ৭৫ বছরপূর্তি। ওই বছরই নতুন এই ভবনে অধিবেশন শুরু হবে। ৬৪,৫০০ বর্গমিটার জায়গার ওপরে তৈরি হবে ত্রিভূজাকৃতি নতুন সংসদ ভবন। থাকবে আধুনিক প্রযুক্তি। ভূমিকম্প প্রতিরোধে সক্ষম। লোকসভা কক্ষে বসতে পারবেন ৮৮৮ জন। সেখানে লোকসভার সদস্য ৫৪৩। রাজ্যসভা কক্ষে রয়েছে ৩৮৪টি আসন। যেখানে রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যা ২৪৫। যুগ্ম অধিবেশনের জন্যই এই ব্যবস্থা। স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়েছেন, বর্তমান বৃত্তাকার সংসদ ভবনটি ভবিষ্যতে ‘পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন’ হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে।  

বর্তমান সংসদ ভবনের কথা বলতে গিয়ে নমো বলেন, ‘আমার কাছে এটা একটা আবেগের দিন যখন আমি এই গণতন্ত্রের মন্দিরের একটা অংশ হতে পারি। আমার প্রথমবার এখানে আসার সময় মাথা নীচু করে প্রণাম করার কথা মনে আছে।’ তিনি বলেন, বর্তমান ভবন শতাব্দী আগে তৈরি হয়েছিল। এটি ভারতের গঠনে সাহায্য করেছে। এই ভবনে বহুবার নির্মাণের কাজ চলেছে। তবে সে সবের শেষ সীমায় এসে পৌঁছেছে এই ভবন। এখন এর বিশ্রাম দরকার।

এ দিনের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও ধর্মীয় নেতারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিল্পপতি রতন টাটা। সংসদের নতুন ভবনের কন্ট্র্যাক্ট টাটা প্রজেক্টের হাতেই রয়েছে।

এ দিকে, এ দিন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আক্রমণ শানিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, ‘মিস্টার মোদী, ইতিহাসে এটাও লেখা থাকবে যে, যখন অন্নদাতারা ১৬ দিন ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন আপনি সেন্ট্রাল ভিস্তার নাম দিয়ে নিজের জন্য প্রাসাদ তৈরি করছেন।’

নতুন সংসদ ভবন তৈরির কাজ শেষ করতে হবে ২০২২ সালের গোড়ার মধ্যে৷ সূত্রের খবর, নতুন ইতিহাস গড়ার দিনক্ষণ বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ ২৬ জানুয়ারি, ২০২২, নতুন সংসদ ভবনের সম্ভাব্য উদ্বোধনের তারিখও স্থির করে ফেলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই৷ দেশের স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনই প্রধানমন্ত্রীর হাতে যাতে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের কাজ করা সম্ভব হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে সরকারের শীর্ষ স্তর৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here