দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মেট্রো পরিষেবা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দূরত্ব বিধি মেনে ও সুরক্ষা বজায় রেখে কী ভাবে পরিষেবা চলবে তা নিয়ে দফায় দফায় রাজ্যের সংখ্যা বৈঠক হচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের। শুক্রবার ফের মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাজ্য সরকারের আলোচনা হয়েছে। আর তাতেই ভাবনা চিন্তা করা হয়েছে, শুধু স্মার্ট কার্ড থাকলেই মেট্রোয় চাপা যাবা না। তার জন্য আগে থেকে বুক করতে হবে সিট। অর্থাৎ স্মার্ট কার্ড না থাকলেও মেট্রোয় টিকিট বুক করা যাবে।
মেট্রোর তরফে প্রেস বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে সম্ভবত মেট্রো পরিষেবা শুরু হতে চলেছে। তবে ১৩ সেপ্টেম্বর মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা বা নিট থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে সেদিন পরিষেবা চালানো হতে পারে। যদিও এই মুহূর্তে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলেই জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই মেট্রোর তরফে একটি অ্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে। যাঁরা মেট্রোয় উঠতে চান, তাঁদের সেই অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। সেই অ্যাপের মাধ্যমেই তাঁরা আগে থেকে টিকিট বুক করতে পারবেন। টিকিট বুক করা হয়ে গেলে একটি টোকেন বা ই-পাস জেনারেট হবে। তারপরে সেই টোকেন দেখিয়ে তবেই তাঁরা মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ করার অনুমতি পাবেন।
এই পদ্ধতি অনেকটা মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমার টিকিট বুক করার মতো। অর্থাৎ যাঁদের কাছে স্মার্ট কার্ড নেই, তাঁরাও এই অ্যাপ ডাউনলোড করে টিকিট বুক করতে পারেন। তবে তা যাত্রা করার ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা আগে করতে হবে। একবার যদি টেকেন বা ই-পাস জেনারেট হয়ে যায় তাহলে স্টেশনের ভিতরে ঢুকে তাঁরা স্মার্ট কার্ড কিনে নিতে পারবেন।
মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের প্রথমে অ্যাপ খুলে কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশনে যেতে চান সেটা উল্লেখ করতে হবে। তারপরেই সেই অ্যাপে জানিয়ে দেওয়া হবে আগামী এক ঘণ্টায় কতগুলি মেট্রো রয়েছে ও তাতে কতগুলি সিট রয়েছে। তারপর সিট বুক করতে পারবেন ওই যাত্রী। সিট বুক হয়ে গেলেই তাঁর ফোনে যে টোকেন বা ই-পাস জেনারেট হবে তা অনেকটা কিউআর কোডের মতো। সেটি দেখালেই তাঁদের মেট্রো স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে। অর্থাৎ কোনও মেট্রোয় সিট ফাঁকা থাকলে তবেই টিকিট কাটতে পারবেন কোনও যাত্রী। নইলে অপেক্ষা করতে হবে তাঁকে।
প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৪ হাজার টোকেন বা ই-পাস ইস্যু করা হবে বলে জানানো হয়েছে মেট্রোর তরফে। প্রতি ১২ মিনিট অন্তর ট্রেন চলার কথা। অর্থাৎ একদিনে সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১২০টি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, স্টেশনের বাইরে দায়িত্বে থাকবেন কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। ভিতরে আলাদা করে স্যানিটাইজেশন টানেল করা হবে। তার মধ্যে দিয়ে যাত্রীদের যেতে হবে। এছাড়া অটোমেটিক থার্মাল স্ক্যানারও বসানো থাকবে প্রতিটি স্টেশনে। যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। মাস্ক না থাকলে টিকিট থাকলেও কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেই জানানো হয়েছে।