সামাজিক দুরত্বই এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসের দুরন্ত গতিতে ধেয়ে আসা আটকাতে পারে।তবে একই সঙ্গে এটাও মাথায় রাখতে হবে শুধু মাত্র ঘরবন্দি করলেই হবে না,একই সঙ্গে যত দ্রুততায় পারা যায় টেস্ট করতে হবে য়ত বেশী সংখ্যক মানুষের এবং একই দ্রুততায় যারা আক্রান্ত হবেন তাদের চিকিত্সা শুরু করতে হবে।এই নির্দেশই জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু।তাই এক্ষেত্রে সরকার শুধু লকডাউন করেই তার দায় সেরে ফেলতে পারে না।চিকিত্সার জন্য যাবতীয় ব্যব্স্থা নিতে সে দায়বদ্ধ।
কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে এ বিষয়ে অবশ্যই উদ্যোগ নিতে হবে।কেন্দ্রী সরকার রেশনে চাল ও গম বিনা মূল্যে দেওয়ার ঘোষণা করেছে,রাজ্য সরকারও একই ঘোষণা আগেই জানিয়ে দিয়েছে।কিন্তু এই ঘোষণাই যথেষ্ট নয় আর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যোগান রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে দিতে হবে।তা না হলে এই লকডাউন প্রক্রিয়াকে সফল করে তোলা যাবে না।
আর লকডাউন প্রক্রিয়া সফল না হলে তা কিন্তু গোটা দেশের কাছেই একটা বিপদ হয়ে দেখা দেবে।তাই ঘরহিন মানুষকে হোম আইসোলেশনে যাবার বা গৃহবন্দি থাকার হাস্যকর পরামর্শ না দিয়ে এদেশের বাস্তবতাকে স্বীকার করে সরকারের উচিত ন্যূনতম প্রয়োজন গুলি নিয়ে সাধারণ মানুষকে পৌছে দেওয়া।মনে রাখতে হবে আমরা এমন এক বিপদের সামনে দাডিঁয়ে যেখানে অন্যকে নিরাপদ না রাখতে পারলে আমাদেরও বিপদ ঘনিয়ে আসবে।তাই নিজেদের স্বার্থেই আমাদের উচিত সরকারকে একেবারে নিম্নবিত্ত-গরিব মানুষের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বার বার বলা।
কানাডা সরকার সকল নাগরিককে গরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমরা অতটা প্রত্যাশা না করলেও কিছুটা সরকার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে করবে তা প্রত্যাশা করতে পারি।আসুন সেই লক্ষ্যে সরকারকে চলতে আমরা বার বার আহ্বান করি।বাড়িতে থাকবো একই সঙ্গে সকলে যাতে বাড়িতে থেতে দিন গুজরান করার মত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী পায় সেটাও দেখা সকলের দায়িত্ব।
কনসেপ্ট বা ধারনায় যদি বিভ্রান্তি থেকে যায় তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে পড়বে আমরা প্রত্যাশা করবো এই বিভ্রান্তি দুর করতে সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে,,।সম্মিলিত প্রয়াসে ভর করেই আমরা এই বিপদকে প্রতিহত করে আবার স্বাভাবিক জীবন ছন্দে ফিরে যেতে পারবো বলে বিশ্বাস রাখি।