দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ১৫ জুন সন্ধেবেলা পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ভারত এবং চীনের। হতাহত নিয়ে মুখে এতদিন কুলুপ এঁটেছিল চীন। বারবার দোষ চাপিয়েছে ভারতের ওপর। শেষ পর্যন্ত এদিন গালওয়ান সীমান্তে লেফটেনান্ট জেনারেল স্তরের বৈঠকে স্বীকারোক্তি করল চীন। মেনে নিল, গত সোমবার ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের শীর্ষস্তরের সেনা অফিসার মারা গেছেন।
ভারত প্রথম থেকেই জানিয়ে দিয়েছে, সেই রাতে ২০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। ৭৬ জন আহত। জম্মু ও লেহ্র সেনা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে কাজে ফিরবেন তাঁরা। ১৫ হাজার ফিট উচ্চতায় সেই রাতে কী হয়েছিল, কীভাবে চীনা ফৌজ হামলা চালিয়েছিল, তার একটা আঁচ দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। চীন বরাবরই চুপ। সেদেশের সংবাদ মাধ্যমেও এই নিয়ে তেমন কিছু প্রকাশ হয়নি। শুধু বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গেছিল, সংঘর্ষে চীনের কমান্ডিং অফিসার মারা গেছেন। অন্তত ৪৫ জন জওয়ান হতাহত হয়েছেন।
এবার কমান্ডিং অফিসারের মৃত্যুর কথা স্বীকার করল বেজিং। তবে হতাহতের কথা প্রকাশ করেনি। সংঘর্ষের সাতদিন পর, সোমবার উত্তেজনা কমাতে বৈঠকে বসেছে দু’পক্ষ। পূর্ব লাদাখের চুশুলের কাছে চীন নিয়ন্ত্রিত মলডো এলাকায় দ্বিপাক্ষিক কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকটি হল। তাতে যোগ দিলেন লেহ্তে অবস্থিত ভারতীয় সেনার ৩ নম্বর কোরের কম্যান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরেন্দ্র সিং। পিপ্লস লিবারেশন আর্মির তরফেও সমস্তরের অফিসার যোগ দিলেন। আলোচনা নিয়ে এখনও বিবৃতি দেয়নি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।