দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ টিটাগড় শুটআউট কাণ্ডে কদিন আগেই সুবোধের খোঁজ পেয়েছিল সিআইডি। তাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে সুবোধ রাই। আততায়ীদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছিল সে।
মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় এ বার আরও এক সুবোধের খোঁজ পেয়েছে সিআইডি। তার নাম সুবোধ কান্ত সিং। ওরফে অভিষেক।
বৃহস্পতিবার পাটনা জেলে গিয়ে সেই অভিষেককে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করলেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি-র অফিসাররা।
পুলিশ সূত্রে খবর, পাটনা জেলে বসে খুনের পরিকল্পনা করেছিল এই সুবোধই। বিহার থেকে ৬ জন ভাড়াটে খুনি সেই জোগাড় করে ব্যারাকপুর-টিটাগড়ে পাঠিয়েছিল। সুবোধ একজন সুপারি কিলার। তা ছাড়া ডাকাতি, রাহাজানি সব রকমের অপরাধের ঘটনায় দীর্ঘ দিন ধরে হাত পাকিয়েছে সে। বর্তমানে ব্যাঙ্ক ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে সে এখন পাটনা জেলে বন্দী রয়েছে।
এখন প্রশ্ন, সুবোধ কান্ত সিংকে সুপারি দিয়েছিল কে? মণীশ শুক্ল খুনের জন্য আততায়ীদের বিহার থেকে ভাড়া করে আনতে টাকা দিয়েছিল কে? মণীশের সঙ্গে তার কীসের বিরোধ। খুনই বা করাতে চেয়েছিল কেন?
এ সব প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। তবে তদন্তে যে অগ্রগতি হচ্ছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। মণীশ খুন হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে খুররমকে আটক করেছিল পুলিশ। ভোর রাতে খুররমের বাড়ি থেকেই তাকে তোলা হয়। মণীশের সঙ্গে খুররমের পুরনো শত্রুতা যে রয়েছে তা টিটাগড়ের অনেকেই জানেন। তার পর তাকে জেরা করেই একটার পর একটা লিড পেয়েছে সিআইডি।
জানা গিয়েছে, যে খানে মণীশকে খুন করা হয়েছিল তার মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের দোতলায় ভাড়াটে খুনিরা এক মাস ধরে ছিল। তাদের খাবার দাবার, বাইক ইত্যাদি যোগান দেওয়ার কাজ করেছিল অপর সুবোধ। মানে সুবোধ রাই। সুবোধ রাইকে জেরা করে খুনের ঘটনায় ব্যবহার করা বাইক, আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে।
এই দুই নেমসেক যে মোটেই সুবোধ নয় তা পুলিশের কাছে স্পষ্ট। এখন রহস্য হল, দুই সুবোধের যোগাযোগ কী ভাবে হয়েছিল। আর নেপথ্যে নাটের গুরু কে?