দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০-এর আক্রমণের ২৪ ঘণ্টা পরেই ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করলো পাক যুদ্ধবিমান এফ-১৬। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, নৌশেরা সেক্টর দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে এই এফ-১৬। কিন্তু ভারতীয় আকাশসীমায় ঢোকার আগেই তাকে বাধা দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। পালানোর চেষ্টা করে পাক যুদ্ধবিমান। যাওয়ার সময় রাজৌরি ও পুঞ্চ সেক্টরে বোমাবর্ষণ করে এফ-১৬। কিন্তু পালানোর আগেই এই যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামালো ভারতীয় বায়ুসেনা।

পিটিআই সূত্রে খবর, বুধবার ভোরবেলা দক্ষিণ কাশ্মীরের নৌশেরা সেক্টর দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে এই পাক যুদ্ধবিমান এফ-১৬। কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার র‍্যাডারে তা ধরা পড়ে যায়। ফলে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রত্যাঘাত করে। এই প্রত্যাঘাত করায় ভারতীয় আকাশসীমার মধ্যে আর ঢুকতে পারেনি এফ-১৬। পালানোর চেষ্টা করে।

যদিও যাওয়ার সময় পুঞ্চ ও রাজৌরি সেক্টরে বোমাবর্ষণ করে এই পাক যুদ্ধবিমান, এমনটাই জানা গিয়েছে। এই বোমাবর্ষণে অবশ্য কেউ হতাহত হননি। তারপরেই ভারতীয় বায়ুসেনা গুলি করে নামায় এই পাক যুদ্ধবিমানকে। নৌশেরা সেক্টরে লাম ভ্যালিতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ৩ কিলোমিটার ভিতরে গুলি করে নামানো হয়েছে এই এফ-১৬কে। পাইলটকে নাকি প্যারাশ্যুটে করে পালাতে দেখা গিয়েছে। সরকারিভাবে অবশ্য এখনও এই ঘটনা জানানো হয়নি। তবে এই ঘটনার পরেই জম্মু, লেহ ও শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে সমস্ত উড়ান স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। খালি করে দেওয়া হয়েছে বিমানবন্দর। উড়বে না কোনও বাণিজ্যিক বিমানও। পাঠানকোট বিমানবন্দরেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

এই ঘটনার পরেই পাক সরকারের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে পাক যুদ্ধবিমানের ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টাকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বুধবার পাক বায়ুসেনা নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আঘাত হেনেছে। এটা ভারতের আক্রমণের প্রত্যাঘাত নয়। পাক যুদ্ধবিমানকে বলা হয়েছিল, ভারতীয় সেনা ও মানুষকে নিশানা না করে অন্য জায়গায় আঘাত হানতে। এই যুদ্ধবিমান পাঠানোর প্রধান কারণ ছিল ভারতকে দেখানো, যে পাকিস্তান সব ধরণের আক্রমণের মোকাবিলা করার

এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ইসলামাবাদ কোনও রকমের যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় না। কিন্তু যদি বাধ্য করা হয়, তাহলে আমরা তৈরি। এটা দেখানোর জন্যই দিনের আলোয় নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করেছে পাক যুদ্ধবিমান। ভারত যেভাবে রাতের অন্ধকারে কোনও রকম প্রমাণ ছাড়া পাকিস্তানে আক্রমণ চালিয়েছে, আমরা সেই রাস্তায় হাটতে চাই না। আমরা শান্তি চাই। সেই সুযোগই আমরা ভারতকে দিচ্ছি।”

এ দিকে বুধবার ভোর-রাত থেকে ফের শুরু হয়েছে সেনা জঙ্গি গুলির লড়াই! সূত্রের খবর, ভোর চারটে কুড়ি থেকে কাশ্মীরের সোপিয়ানে এই লড়াই শুরু হয়েছে৷ ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার মেমান্দার এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা করে জঙ্গিরা। তার পর থেকে গুলির লড়াই চলছে এক টানা। দু’জন জঙ্গিকে মেরে ফেলা গিয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here