


কলকাতা : কালীক্ষেত্র কলকাতা। কালীপুজো উপলক্ষ্যে দীপান্বিতা অমাবস্যার দিন সকাল থেকেই কলকাতার সব কালী মন্দিরগুলিতেই পুজো দিতে ভিড় জমান ভক্তরা। এরমধ্যে অন্যতম কলকাতার দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর মন্দির। সমস্ত রীতি মেনেই ভোরের মঙ্গল আরতি দিয়ে শুরু হয়েছে পুজোর আরাধনা।

সকাল ছ’টায় মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। দু’টি প্রবেশপথ এবং একটি বাহির পথ দিয়েই দর্শনার্থীরা সকাল থেকেই পুজোর ডালি হাতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে চলছে পুজো দেওয়ার পালা। ভিড় থাকলেও শান্তিপূর্ণ ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দিয়েছেন সকল ভক্ত। প্রতিবছরের মতন এবছরেও শুধুমাত্র মনের ভক্তিকে সঙ্গী করে অক্লান্ত ভাবে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল আবালবৃদ্ধবনিতাকে।

দূর দুরান্ত থেকে এসেও কালীপুজোর দিনে ভবতারিণী মায়ের দর্শন পেয়ে, পুজো দিয়ে মনের প্রশান্তি পেয়েছেন সকল ভক্ত। এমন বক্তব্যই শোনা গেল তাদের মুখে।
ভাবী দম্পতি রুবী এবং মনোজিত দেশের সময়কে জানালেন আগামীমাসেই তাদের বিয়ে তাই কালীপুজোর দিনে মা ভবতারিণীকে পুজো দিয়ে মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে মাকেই করলেন বিয়ের প্রথম নিমন্ত্রণ।

পুজা রাই কৃষ্ণনগর থেকে এসেছেন, দেশের সময়কে জানালেন দক্ষিণেশ্বরের মায়ের মন্দিরে এসে পুজো দিয়ে এক অনন্য শান্তি পাওয়া যায়।দেখুন ভিডিও
লহরী বিশ্বাস বন্ধুদের সঙ্গে এসেছেন প্রথমবার, কালীপুজোর দিনে মা ভবতারিণীর পুজো দিয়ে দর্শন করতে পেরে নিজের অনন্য অনুভূতির কথাই জানালেন দেশের সময়কে।

ভক্তের ঢলে আর ঢাকের বোলে সন্ধ্যা নামে দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণীর মন্দিরে। কালীপুজো উপলক্ষে আলোর মালায় ভরে ওঠে দক্ষিণেশ্বর মায়ের মন্দির। কালীপুজোর বিশেষ পুজো শুরু হবে রাত সাড়ে দশটায় গঙ্গায় ঘট স্নানের পর। ওই সময় রাতে জোয়ারের জলে ঘট ডুবিয়ে তা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ওই জল দিয়ে মাকে স্নান করানোর পর শুরু হয় পুজো। এ বারও তাই হবে। বিশেষ বেনারসি শাড়ির সঙ্গে প্রচুর সোনার গয়নায় সাজবেন মা৷ পুজো শেষে রাত দেড়টা নাগাদ শুরু হবে যজ্ঞ।



