দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলেমানির মৃত্যুর পরেই সেনাপ্রধান আয়াতুল্লাহ আলি খোমেইনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আমেরিকাকে। এই হামলার বদলা নেওয়া হবে বলেই হুঙ্কার দিয়েছিলেন তিনি। সেই কাজ শুরু করে দিল ইরান। বুধবার ভোররাতে ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন সেনা ক্যাম্পে এক ডজন ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ল ইরান। এই আক্রমণে বিশাল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই হামলার পর পেন্টাগনের তরফে বলা হয়েছে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ এখনও পর্যন্ত পুরো ছবিটা তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। একবার সব খবর আসার পরেই বলা সম্ভব হবে। তবে পেন্টাগনের তরফে বলা হয়েছে, “এটা নিশ্চিত যে মিসাইলগুলি ইরান থেকে ছোড়া হয়েছে। ইরাকে অবস্থিত অন্তত দুটি মার্কিন সেনা ক্যাম্পে আঘাত করেছে এই মিসাইলগুলি।” এই হামলার পরে ইরাকে থাকা অন্য ক্যাম্পগুলির সেনাদের তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সেনার সুরক্ষার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ইরাকের কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে।

অবশ্য এই হামলার পরেও অবিচল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, “সব ঠিক আছে।” ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে সঙ্গে নিয়ে এই ক্যাম্পগুলিতেই গিয়েছিলেন ট্রাম্প। এই হামলার পরে ট্রাম্প টুইট করে বলেন, “কতটা ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সবকিছু ভালই আছে।”

ইরানের সংবাদমাধ্যমে প্রচার হওয়া খবর অনুযায়ী, দেশের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড কাসেম সোলেমানির হত্যার বদলা নেওয়া শুরু করেছে ইরান। সোলেমানিকে হত্যা করার দাম আমেরিকাকে দিতে হবে। ইরানের আইন আল আসাদ বেস থেকে এদিন ১২টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া হয়েছে। মিসাইলগুলি নিজেদের লক্ষ্যেই আঘাত করেছে। এই হামলায় প্রচুর মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে। আমেরিকা একথা না মানলেও ইরানের কাছে রিপোর্ট রয়েছে। এই হামলা দিয়েই সোলেমানির হত্যার জবাব দেওয়া ইরান শুরু করল বলেই জানানো হয়েছে ইরানের তরফে।

সংবাদমাধ্যমে একটা বিবৃতিতে ইরানের তরফে জানানো হয়েছে, “আমরা মার্কিন নাগরিকদের পরামর্শ দেব, তারা ইরাকের মাটিতে থাকা মার্কিন সেনাকে দেশে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করুক। নইলে এই দুই দেশের শত্রুতার খেসারত তাদের দিতে হবে। আমেরিকা যা করেছে তার পরে ইরান চুপ করে বসে থাকবে না।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here