দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাম সহ কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা বুধবারের সাধারণ ধর্মঘট বানচাল করে দিল সাধারণ মানুষ। ধর্মঘটের প্রভাব নেই কলকাতায়। জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করেছিল ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। কিন্তু সাধারণ মানুষের কর্মস্থলে যাওয়ার উৎসাহ দেখে হতাশ হয়েছে ধর্মঘট সমর্থনকারীরাও।

বনগাঁ নিউমার্কেট ছিল জমজমাট- দেশের সময়
নাগরিকপঞ্জী, নাগরিকত্ব আইন সহ একাধিক ইস্যুতে বাম ও বিরোধীদের ডাকা ভারত বন্‌ধে দফায় দফায় অবরোধ–বিক্ষোভ হয়েছে গোটা রাজ্যে। রেললাইনে বসে, ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে বহু জায়গায় থামিয়ে দেওয়া হয় ট্রেন। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করেন বন্‌ধ সমর্থনকারীরা।
সাতসকালেই বেলঘরিয়ায় রেললাইনে দাঁডিয়ে পড়েন বন্‌ধ সমর্থকরা। অবরোধ করা হয় ইছাপুর, শ্যামনগর, হৃদয়পুর, কাঁচড়াপাড়াতেও। চুঁচুড়ায় লাইনে কলাপাতা ফেলে ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়।


সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বন্‌ধ সমর্থকরা অবরোধ করেন যাদবপুর স্টেশন। আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সুজন চক্রবর্তী সহ একাধিক বাম নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগরপাড়া ও মধ্যমগ্রামে অবরোধের কারণে শিয়ালদহ থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ট্রেন ছাড়েনি। এদিন সকালে হৃদয়পুর স্টেশনে রেলের ট্র্যাকের ওপরে একটি সন্দেহজনক বস্তু দেখতে পান চালক। তা দেখে ট্রেন থামিয়ে দেন তিনি। পরে দেখা যায় লাইনে পড়ে রয়েছে ৩টি তাজা বোমা। দুটি বোমা সরিয়ে নেওয়া হলেও তৃতীয়টিকে সরানো যায়নি। অন্যদিকে দমদম মেট্রো স্টেশনে ঢুকে অবরোধ করার চেষ্টা করেন বন্‌ধ সমর্থকরা।


অন্যদিকে, সকালে কলকাতার চিংড়িঘাটা, ভিআইপি বাজারে অবরোধ করেন বন্‌ধ সমর্থকরা। তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। হাওড়া দক্ষিণ–পূর্ব রেলের চেঙ্গাইল ও ভোগপুর স্টেশন অবরোধ হয়। সাড়ে আটটা নাগাদ অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। খড়গপুর–টাটানগর শাখার সরডিহা স্টেশন অবরোধ করেন বন্‌ধ সমর্থকরা। আটকে যায় স্টিল এক্সপ্রেস।

অবরোধ করা হয় তমলুক স্টেশনও। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। উত্তরবঙ্গেও বিক্ষিপ্ত ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করেন বন্‌ধ সমর্থনকারীরা।
বিভিন্ন জায়গায় সরকারি বাস ভাঙচুর করা হয়। বাসের চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন জায়গায় জোর করে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবুও সাধারণ মানুষকে দমানো যায়নি। সরকারি অফিসে হাজিরা স্বাভাবিক। বেসরকারী ক্ষেত্রেও স্বতস্ফূর্ততার সঙ্গে মানুষ কাজে যোগ দিয়েছেন।


এদিনের বন্ধের মধ্যেও স্বাভাবিক ছিল পেট্রাপোল সীমান্তের আমদানি-রপ্তানির কাজ এবং যাত্রী পরিবহনও ছিল অন্যান্যদিনের মত স্বাভাবিক৷এদিন সকাল থেকে রপ্তানিকারী গাড়ি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে,তবে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে আসা যাত্রীদের সংখ্যা যথেষ্ট কম ছিল, যারা এপার বাংলায় এসেছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগ যাত্রী ট্রেন অবরোধের ফলে নাকাল হয়েছেন।

বুধবার সকালে ছবি গুলি তুলেছেন দীপ বিশ্বাস,দিব্যেন্দু পোদ্দার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here