দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের মুখে একগুচ্ছ দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার রামলীলা ময়দান থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত এক দল মহিলা মিছিলে পা মেলালেন, সমাজকর্মী, শ্রমজীবী তো বটেই, সেই সঙ্গে বিশেষ শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতাসম্পন্ন মহিলারা এবং ছিলেন রূপান্তরকামীরা।

কেন এই মিছিল? উদ্যোক্তাদের কথায়, ‘যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় আসুক, তারা যেন গণতন্ত্র এবং শান্তির পক্ষে কাজ করে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ না করে। আমরা চাই, নতুন সরকারের আমলে ফ্যাসিবাদী কার্যকলাপ বন্ধ হোক, লিঙ্গ পরিচিতি ও জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে প্রাপ্য অধিকার দেওয়া হোক, ধর্ম ও জাতপাতের নামে দাঙ্গা বন্ধ হোক।

বৃহস্পতিবারের মিছিল থেকে এই সমস্ত দাবিগুলিকে তুলে ধরাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।’তবে শুধু কলকাতায় নয়। একই দিনে একই স্লোগানকে সামনে রেখে দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদ-সহ দেশের সব ক’টি বড় শহরে মিছিলে সামিল হয়েছেন মহিলারা। সমাজ কর্মীদের কথায়, ‘আলোচনায়, সভায় সব সময়ে সমতার কথা বলা হয়।

কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। এই মিছিলের মাধ্যমে আমরা সমতা-সাম্যের দাবি তুলছি। যে কোনও ধরনের হিংসা, কণ্ঠরোধ করার বিরুদ্ধে বলতে চাই।
এ বারের নির্বাচনে মহিলাদের প্রাধান্য দিতে ওডিশায় বিজু জনতা দল ৩০ শতাংশের বেশি আসনে মহিলা প্রার্থীর কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তাকে টেক্কা দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪১ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দিয়েছেন। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে ১৭ জন মহিলা তৃণমূল প্রার্থী।

যা সংসদীয় গণতন্ত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেরই মত। তাঁদের বক্তব্য, মহিলাদের দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে মহিলা সাংসদেরা সংসদে সরব হতে পারবেন।একসমাজকর্মীর কথায় কেন্দ্রের ভাবী সরকারের কাছে অন্য তিনটি বিষয়ে প্রত্যাশা করছেন তাঁরা৷ প্রথমত, নির্ভয়া তহবিলে স্বচ্ছতা আনা সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

দ্বিতীয়ত, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে সাজার হার অত্যন্ত কম এবং সে দিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তৃতীয়ত, মহিলাদের নিরাপত্তা তো নিশ্চিত করতেই হবে, সেই সঙ্গে একাধিক সমীক্ষায় প্রকাশ, বিভিন্ন ধরনের কাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ কমছে। কেন সেটা হচ্ছে এবং কী ভাবে তার সুরাহা হতে পারে, সে দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে তাঁরা দাবি করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here