ইন্দ্রজিৎ রায়, শান্তিনিকেতন

লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর পর বীরভূমে রাজনৈতিক সংঘর্ষ অব্যাহত। বিজেপি নেতার গ্রেপ্তারের ঘটনায় দফায় দফায় তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে উত্তাল বীরভূমের নানুর থানার বন্দর ও পিলখুন্ডি গ্রাম। বিজেপি নেতা ও কর্মীদের অকারনে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে বুধবার নানুর থানার বন্দর গ্রামে পথ অবরোধ করে বিজেপি কর্মী-সমর্থক রা।

বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা দাঁড়ায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে ‌। পুলিশকর্মীরা, তা সামাল দিতে গেলে প্রহৃত হয় তারাও। পুলিশরা পিছু হটলে মুড়ি মুড়কির মতন পড়তে থাকে বোমা।
একদিকে যখন রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তাল বীরভূমের নানুর থানার বন্দর গ্রাম, অন্যদিকে সেদিনই শুভ বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ মিরাজ ও সাহিনুরের বৌভাত হওয়ার কথা।

আমন্ত্রিত অতিথি ও কনে যাত্রীদের আপ্যায়ন করার শেখ মিরাজ এর পরিবারের লোকজনদের। আপ্যায়নে যাতে কোন ত্রুটি না থাকে তার ব্যবস্থাও করে রাখেন নি তাঁরাও 4 লক্ষ টাকা খরচা করে বিরিয়ানি সহ বিভিন্ন উপাদেয় খাদ্য রেখেছিলেন অভ্যাগত অতিথিদের জন্য, কিন্তু রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত নানুরের বন্দর গ্রামে যখন মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ছে, তখন আটকে পরেন কনে যাত্রী ও স্থানীয় আমন্ত্রিত অতিথিরাও।

অভুক্ত অবস্থায় ফিরে যেতে হয় কনে যাত্রীদের। বিরক্ত, ক্ষুধার্থ, অপমানিত কনে যাত্রীরা ফিরে যায় তাদের বধু শাহিনুর কে নিয়ে। এরপরই আতঙ্কিত নবগৃহবধু শাহিনুর শ্বশুরবাড়ির গ্রাম নানুরের বন্দরে ফিরতে অস্বীকার করে। তার স্পষ্ট সাফাই যতদিন না স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি ফিরব না শশুর বাড়ি।

এক বাক্যে এই পরিস্থিতির জন্য যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ দায়ী তা স্বীকার করেন শেখ মিরাজের পরিবারও। মিরাজের মা জাহানারা বিবি জানান নববধূর আতঙ্কিত হওয়া খুব স্বাভাবিক, আমরা পূর্ণ সমর্থন করি তাকে, এই অবস্থার জন্য দায়ী এই রাজনৈতিক সংঘর্ষ, আমরা চাই শান্তি, যাতে কিনা শান্তিতে ফিরে আসতে পারে নব গৃহবধু ও সুখে শান্তিতে থাকতে পারে অন্যান্য গ্রামবাসী।

———-

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here