দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে বাংলার রাজনীতি উত্তপ্ত। তৃণমূলের দাবি, ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভেঙেছে গেরুয়া গুণ্ডারা। পাল্টা বিজেপি-র দাবি, তৃণমূলই সব করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরপ্রদেশের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ওই জায়গাতেই পঞ্চ ধাতুর বিরাট বিদ্যাসাগরের মূর্তি বানাবেন তিনি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মথুরাপুরের জনসভা থেকে পাল্টা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ দিন চৌধুরীমোহন জাটুয়ার সমর্থনে জনসভা থেকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে কার্যত রণংদেহি মেজাজে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যাসাগর ইস্যুতে মমতা বলেন, “মূর্তি ভেঙেছে ওরা। তারপর উত্তরপ্রদেশে মিটিং করে বলছে মূর্তি বানিয়ে দেবে। তোর টাকা থোড়াই নেব। আয়! বাংলা ভিখিরি নয়। বাংলারটা বাংলা বুঝে নেবে।”
তৃণমূল নেত্রী বলেন “ওরা পারবে ২০০ বছরের হেরিটেজ ফিরিয়ে দিতে? সব বিজেপি-র গুণ্ডারা করেছে। এই মিথ্যেবাদী প্রধানমন্ত্রীর লক্ষবার কান ধরে ওঠবস করা উচিত।” এরপরই মমতা বলেন, “ওর যদি এত মূর্তি বানানোর শখ, তাহলে আমাদের বলুক। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ওকে বানাতে হবেনা। বিদ্যাসাগর ওর মূর্তি বানিয়ে দেবে। বাংলার মানুষ ওর স্ট্যাচু বানিয়ে দেবে। অনেকেরই তো জীবদ্দশায় স্ট্যাচু হয়!

মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের বক্তৃতা শুনে এক বিজেপি নেতা বলেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তুই তোকারি করেন, এ সব জানলে বিদ্যাসাগরও লজ্জা পেতেন।”

মঙ্গলবার বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের রোড শো ঘিরে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ধুন্ধুমার চলেছে কলেজ স্ট্রিট থেকে বিধান সরণি পর্যন্ত। প্রথমে কলকাতা বিশ্ববিদযালয়। তারপর বিদ্যাসাগর কলেজ। সেই ঘটনা নিয়েই অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ শুরু হয়। রাতেই বিদ্যাসাগর কলেজে যান মমতা। বুধবার সকালে অমিত শাহ ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, যা করেছে সব তৃণমূল। পাল্টা আক্রমণ শানাতে এ দিন বাছাবাছা বিশেষণে মোদী এবং অমিত শাহকে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here