নিজস্ব সংবাদদাতা,দেশের সময়:-তৃণমূল প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর পরই দিল্লিতে তৃণমূলের সদ্য সাসপেন্ড হওয়া সদস্য অনুপম হাজরা ও কংগ্রেসের বিধায়ক দুলাল বর ও সিপিএমের খগেন মুর্মুকে দিল্লিতে বিজেপির পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে বিজেপিতে ঘোগ করিয়ে মুকুল রায় ঘোষণা করেছেন এখনও পর্যন্ত তারা স্রেফ ছবির ট্রেলার প্রকাশ করেছেন মাত্র সম্পূর্ন ছবি এখনও বাকি। বৃহঃস্পতিবার উত্তর২৪পরগনার ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিং বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।

মকুলবাবুর এই ইঙ্গিত থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না তার আস্তিনে এখনও অনেক তীর আছে,যা তিনি কালক্রমে প্রকাশ করবেন।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটা অংশ মনে করছেন মুকুলবাবু কিছু ক্ষেত্রে বাড়িয়ে বলছেন তৃণমূলকে চাপে রাখার জন্য,তৃণমূলকে যতোটা ভেঙে দিতে তিনি পারবেন বলে মনে করেছিলেন তা তিনি পারছেন না বলেই এখন হাওয়ায় কথা ভাসিয়ে দিয়ে তৃণমূলের অন্দরে একটা ভিতীর সঞ্চার করার চেষ্টা করে চলেছেন।তা যদি তা হোত ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে যাবার পরও কেন তিনি শুধু সময় নিয়ে যাচ্ছেন,যা করার তাঁকে তো এখনই করতে হবে।তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ যাই বলুন না কেন একটা বিষয় কিন্তু পরিষ্কার যে মকুল রায় তৃণমূলকে ভেঙে দেওয়ার জোরদার প্রয়াস করে চলেছেন।নেই নেই করেও একে একে অনেকে বিজেপি-তে যোগ

দিয়েছেন,যেমন,সৌমিত্র খাঁ,অনুপম হাজরা,এরা দুজনেই তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন।দলে এসেছে অর্জুন সিং, প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক ভারতী ঘোষ,ছাত্র নেতা শঙ্কু পন্ডা।জেলার দাপুটে নেতা নিশিথ প্রামানিকও এখন বিজেপিতে।বিভিন্ন জেলা স্তরের নেতাদের মুকুল রায় বিজেপির পক্ষে ফিট করতে শুরু করে দিয়েছেন,এবং তিনি সেটা করছেন খুবই সন্তর্পনে,ফলে কতটা ফাঁপা হয়ে গেছে শাসক দল ভেতরে ভেতরে তা এখনই বলে দেওয়া সম্ভব নয়।তবে সকলের নজর যে দিকে যে তৃণমূলের কোন হেভিওয়েট নেতাকে বিজেপি ঘরে তুলতে পারল কীনা! আর এখানেই

সাসপেন্স বজায় রাখতে চাইছেন মুকুল রায়। বলে চলেছেন দেখুন না কী হয়,অপেক্ষা করুন।হতে পারে মুকুল রায় রাজনৈতিক কৌশলের জন্যই এসব বলছেন কিন্তু সূত্র বলছে মুকুল রায় এখনও প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছেন তৃণমূল ভেঙে দিতে।এখনও বেশ কিছু চমক অপেক্ষা করছে রাজ্য রাজনীতিতে।কী হতে পারে সেই চমক!তবে তার কিছুটা আঁচ রাজ্যবাসী ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন ভাটপাড়ার ডাকাবুকো বিধায়ক অর্জুন সিং কে বিজেপিতে পা রাখতে দেখে! এখন অর্জুন সিংদের এই ভাবনাটাই মুকুল রায়ের পুঁজি।পোড় খাওয়া রাজনীতিক মুকুল রায় জানেন সংসদীয় রাজনীতির এই ময়দানে কেউ মতাদর্শ বা মানবসেবার লক্ষ্য নিয়ে আসেন না,সবার ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধা পাওয়াটাই বড় বিষয়,ক্ষমতাকে ব্যবহার করে কিছু আদায় করাটাই হল আসল কথা।

মমতা সুযোগ সুবিধা বিলিয়ে নানা জনকে কাছে টেনেছেন,আবার সুযোগ সুবিধা না পেয়ে অসংখ্য তৃণমূল কর্মী ও নেতা বিক্ষুদ্ধ,এই বিক্ষুব্ধদের নিয়েই গুঁটি সাজাচ্ছেন মুকুল রায়,অনেকেই মনে করছেন,খেলাটা এখনও বাকি।সূত্র বলছে শেষ কামড় দেবেনই মুকুল রায়,সেই কামড় মমতাকে কতটা যন্ত্রণা দেয় সেটাই এখন দেখার।দলের শীর্ষ নেতাদের মুকুল রায় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন,সংগঠন নতুন করে তৈরি করে রাজ্যের শাসকদলকে চাপে ফেলা সম্ভব নয় উপায় তৃণমূলের সংগঠনকে ভেঙে নিজেদের দিকে নিয়ে আসা,দিনরাত ধরে সেই প্রয়াসই মকুল রায় করে চলেছেন বলে খবর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here