জ্বলছে রাজধানী, রাজ্য থেকে জেলা,নতুন নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে রাজপথে হাজার হাজার মানুষ, প্রতিবাদে গর্জে উঠল সীমান্ত শহর বনগাঁও

0
587

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সংশোধনী নাগিরকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। পুড়ছে রাজধানী। দেশের উত্তর–পূর্বে প্রতিবাদের আগুন ছুঁল দিল্লিকেও। রবিবার দুপুরে দক্ষিণ দিল্লিতে নতুন আইনের প্রতিবাদ সমাবেশে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। দেখতে দেখতে সেই প্রতিবাদ বড় আকার নেয়।

শিক্ষার্থীদের এই সমাবেশে যোগ দেয় জনতাও। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। বিক্ষোভ থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে দক্ষিণ দিল্লির প্রশাসন। পড়ুয়াদের ওপর লাঠিচার্জও করা হয়েছে বলে খবর। হিংসা যাতে শহরের অন্য অংশে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য ইতিমধ্যেই ওখলা আন্ডারপাস থেকে সরিতা বিহার পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচল। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে শহরের নিউ ফ্লেন্ডস কলোনি। বিক্ষোভের ফলে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে দিল্লি–মথুরা রোড, বদরপুর, আশ্রমচকেরও।

কীভাবে খোদ রাজধানীতে এত বড় আকার নিল প্রতিবাদ সমাবেশ? বিভিন্ন মহল থেকে উঠে আসা এই প্রশ্নের জবাবে দিল্লি পুলিশের যুক্তি, তাদের ধারণা ছিল ১০০ থেকে ২০০ জনের মতো শিক্ষার্থীর জমায়েত হবে বিক্ষোভে। পড়ুয়াদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ যোগদানে তার সংখ্যা যে হাজার খানেকেরও বেশি হবে, বোঝা সম্ভব হয়নি।

এদিকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া জামিয়া মিলিয়ার এক শিক্ষার্থী মিরান হায়দারের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের ভেতরেই চলছিল তাঁদের প্রতিবাদ সমাবেশ। আচমকাই পুলিস লাঠিচার্জ করায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফুঁসে ওঠে জনতাও। দেখতে দেখতে প্রতিবাদ সমাবেশ পরিণত হয় বিশাল বিক্ষোভে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন জামিলা মিলিয়ার উপাধ্যক্ষ নাজমা আখতার। তিনি ছাত্রদের অনুরোধ করেন শান্তি বজায় রাখার জন্য। একই সঙ্গে বলেন, ক্যাম্পাসের বাইরে পা রাখলে তিনি কারোরই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারবেন না। ফলে, পড়ুয়ারা যেন ক্যাম্পাসের বাইরে বিক্ষোভ না দেখায়। তিনি আরও জানান, এমন অশান্তির মুহূর্তে যে বা যারা ক্যাম্পাসের বাইরে পা রাখবে তার সুরক্ষার দায়িত্ব তার নিজের।

এদিকে সোমবার সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাশেরর পর থেকেই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশের উত্তর–পূর্ব অংশ। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ সমাবেশ, মশাল মিছিল। ভাঙচুর চালানো হয় সরকারি সম্পত্তি এবং যানবাহনের ওপর। পুলিশি টহলদারি সত্ত্বেও কারর্ফু অমান্য করে পথে নামেন হাজার হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন চারজন।

রবিবার সকালে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে আরও দু’জনের। গুরুতর আহত অবস্থায় গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছেন ২৭ জন। পাশাপাশি, হিংসা ছড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও।

কলকাতা সহ একাধিক জেলায় ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে গত দু’দিন ধরে। অবরোধ হয়েছে বহু রাস্তা, রেলপথ। ভাঙচুর চালানো হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। নিরাপত্তার খাতিরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কলকাতার একাধিক অঞ্চলে।

“হাবড়া:“”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রবিবার বিকালে NRC ও CAB বাতিলের জন্য হাবড়া বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের

আয়োজনে এক প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত হাবড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।” গর্জে উঠল বনগাঁ:

অন্য দিকে উত্তর২৪পরগনার সীমান্ত শহর বনগাঁয় – শহর আইএনটিটিইউসি বনগাঁ শাখার উদ্যোগে রবিবার এনআরসি এবং ক্যাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল সংঘটিত হলো। এদিন বনগাঁ স্টেশনের নেতাজি মোড় থেকে শুরু হয় এই মিছিল।

এরপর স্টেশন রোড, যশোর রোড, কোর্ট রোড, স্কুল রোড হয়ে মিছিল শেষ হয় ত্রিকোণ পার্ক এর রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশে। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষ, শ্রমিক নেতা নারায়ন ঘোষ, বিশ্বজিৎ রায় সহ অন্যান্যরা।

Previous articleনাগরিকত্ব আইন: বিরোধিতা করে কংগ্রেস দেশে আগুন জ্বালিয়েছে,তোপ দাগলেন মোদী: ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ রাজ্য সরকারের
Next articleরাজ্যের পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর,জেলায় জেলায় অতিরিক্ত বাহিনী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here