প্রতিদিনের সাজগোজের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ কাজল। যে মেয়ে মেকআপের ধারপাশ দিয়েও হাঁটেন না, তিনিও কোথাও বেরোনোর আগে চোখের কোলে ছুঁইয়ে নেন কাজলের প্রলেপ। ঘরোয়া সাজগোজ থেকে পার্টি মেকআপ, যেভাবেই আপনি সাজুন না কেন, কাজল ছাড়া আপনার সাজ অসমাপ্ত। এবং যেহেতু কাজল এতটাই জরুরি, তাই সঠিক কাজলটি বেছে নেওয়াও একইরকম জরুরি। বাজারে ওয়াটারপ্রুফ, স্মাজ প্রুফ থেকে শুরু করে নানা ধরনের কাজল পাওয়া যায়। কিন্তু জানেন কি, আপনি কাজল কীভাবে লাগাচ্ছেন, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে?

সুন্দর করে কাজল পরার ব্যাপারে আপনাকে যাতে কেউ টপকে যেতে না পারে, তার জন্য রইল কিছু এক্সক্লুসিভ টিপস!

কাজল পরার নিয়মকানুন

1. কাজল পরার সময় টেবিলের উপর কনুইয়ের ভর দিন। হাত কাঁপবে না।

কাজল পরার সময় টেবিলের উপর কনুইয়ের ভর দিন। হাত কাঁপবে না।

2. যে চোখে কাজল পরছেন, সেই চোখ হালকা হাতে টেনে ধরুন। স্ট্রোক দিতে সুবিধে হবে।

. যে চোখে কাজল পরছেন, সেই চোখ হালকা হাতে টেনে ধরুন। স্ট্রোক দিতে সুবিধে হবে।

3. কাজল কখনও এক টানে পরবেন না। ছোট ছোট স্ট্রোকই সবচেয়ে ভালো।

. কাজল কখনও এক টানে পরবেন না। ছোট ছোট স্ট্রোকই সবচেয়ে ভালো।

4. চোখের নিচের পাতার বাইরের দিকের কোনা থেকে কাজল পরা শুরু করুন। তাতে রং গাঢ় করতে পারবেন।

. চোখের নিচের পাতার বাইরের দিকের কোনা থেকে কাজল পরা শুরু করুন। তাতে রং গাঢ় করতে পারবেন।

5. আপনার চোখ যদি ছোট হয়, ভিতরের দিকের কোনায় কাজল পরবেন না। তাতে চোখ আরও ছোট দেখাতে পারে।

. আপনার চোখ যদি ছোট হয়, ভিতরের দিকের কোনায় কাজল পরবেন না। তাতে চোখ আরও ছোট দেখাতে পারে।

6. স্মোকি এফেক্ট দিতে স্মাজিং ব্রাশ দিয়ে হালকা করে স্মাজ করে দিতে পারেন।

. স্মোকি এফেক্ট দিতে স্মাজিং ব্রাশ দিয়ে হালকা করে স্মাজ করে দিতে পারেন।

7. ইচ্ছে করলে চোখের উপরের পাতাতেও আই লাইনারের বদলে কাজল পরতে পারেন। চোখের পলকের গোড়া ঘেঁষে কাজল পরুন। তাতে চোখের পলক অনেক বেশি ঘন আর কালো দেখাবে। প্রথমে সরু লাইন টানুন, তারপর প্রয়োজনমতো ছোট ছোট স্ট্রোকে ডিফাইন করুন লাইনটাকে।

. ইচ্ছে করলে চোখের উপরের পাতাতেও আই লাইনারের বদলে কাজল পরতে পারেন। চোখের পলকের গোড়া ঘেঁষে কাজল পরুন। তাতে চোখের পলক অনেক বেশি ঘন আর কালো দেখাবে। প্রথমে সরু লাইন টানুন, তারপর প্রয়োজনমতো ছোট ছোট স্ট্রোকে ডিফাইন করুন লাইনটাকে।

কাজল পরার আগে কী কী বিষয়ে সাবধান থাকবেন?

অন্য সব কিছুর মতো কাজল পরার আগেও কিছু ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। রইল সে ব্যাপারে কিছু জরুরি টিপস।

1. নিজের কাজল অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। চোখে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে।

. নিজের কাজল অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। চোখে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে।

2. কনট্যাক্ট লেন্স পরেন? একটু খরচ করে হলেও স্মাজ প্রুফ কাজল কিনুন। না হলে কাজলের কণা লেন্সে লেগে বিপত্তি ঘটতে পারে।

. কনট্যাক্ট লেন্স পরেন? একটু খরচ করে হলেও স্মাজ প্রুফ কাজল কিনুন। না হলে কাজলের কণা লেন্সে লেগে বিপত্তি ঘটতে পারে।

3. আয়না ছাড়া অথবা গাড়িতে বসে কাজল পরবেন না। চোখে খোঁচা লেগে বড়ো ধরনের বিপদ হতে পারে!

. আয়না ছাড়া অথবা গাড়িতে বসে কাজল পরবেন না। চোখে খোঁচা লেগে বড়ো ধরনের বিপদ হতে পারে!

4. চোখে কোনও সংক্রমণ হলে সেরে না যাওয়া পর্যন্ত কাজল পরবেন না।

. চোখে কোনও সংক্রমণ হলে সেরে না যাওয়া পর্যন্ত কাজল পরবেন না।

5. মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া কাজল পরবেন না।

. মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া কাজল পরবেন না।

6. রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তুলোয় করে নারকেল তেল নিয়ে হালকা হাতে কাজল তুলে ফেলতে ভুলবেন না।

. রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তুলোয় করে নারকেল তেল নিয়ে হালকা হাতে কাজল তুলে ফেলতে ভুলবেন না।

কীভাবে বেছে নেবেন কাজল?

অনেকেরই ধারণা কাজল কেনার ব্যাপারে অত বাছাবাছির কী আছে! কিন্তু ঘটনা হল, কাজলের টেক্সচার, রং বাছাই থেকে শুরু করে কাজল থেকে ত্বক বা চোখের সমস্যা যাতে না হয়, তার জন্য বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার।

1. গ্লিটার বা শিমার দেওয়া কাজল এড়িয়ে চলুন। কাজলে গ্লিটার জাতীয় কিছু থাকলে তা চোখের ক্ষতি করতে পারে।

গ্লিটার বা শিমার দেওয়া কাজল এড়িয়ে চলুন। কাজলে গ্লিটার জাতীয় কিছু থাকলে তা চোখের ক্ষতি করতে পারে।

2. চোখে সহজেই ইনফেকশন হয়? অর্গানিক বা ন্যাচারাল কাজল কিনুন।

চোখে সহজেই ইনফেকশন হয়? অর্গানিক বা ন্যাচারাল কাজল কিনুন।

3. কমদামি কাজল কিনবেন না। ভালো মানের কাজল হলে তবেই কিনুন।

কমদামি কাজল কিনবেন না। ভালো মানের কাজল হলে তবেই কিনুন।

4. কাজল মানেই কালো নয়। চোখ বড়ো দেখাতে বাদামি বা গাঢ় বাদামি শেডের কাজল পরতে পারেন।

কাজল মানেই কালো নয়। চোখ বড়ো দেখাতে বাদামি বা গাঢ় বাদামি শেডের কাজল পরতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here