দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: লোকসভার মুখে অস্বস্তি হাত শিবিরে। বিজেপি-তে যোগ দিলেন কংগ্রেস নেতা তথ‍া সোশ্যাল মিডিয়া ইনচার্জ অনুপম ঘোষ। সাধারণত অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ বলেই কংগ্রেসে পরিচিত ছিলেন অনুপমবাবু। এদিন মহেশ্বরী সদনে আয়োজিত হয় বিজেপি যুব মোর্চার কর্মসূচী। যেখানে যোগ দিয়ে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন অনুপম ঘোষ। উপস্হিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ সরকার সহ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। উল্লেখ্য কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সিদ্ধান্তে সম্প্রতি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ ত্যাগ করেছেন অধীর চৌধুরী। সেই পদে আসীন হয়েছেন সৌমেন মিত্র। আর অধীর চৌধুরী সভাপতি পদ থেকে সরে আসার পরেই অনুপম সহ কিছু নেতাকে নিয়ে চিন্তিত ছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। “সভাপতি পদে বদল আসার পরবর্তীতে দলে তাদের এক ঘরে করে দেওয়ার চেষ্ঠা চলছে, ডাকা হচ্ছে না কোন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে” এমনই অভিযোগ তুলে বারম্বার শীর্ষ নেতৃত্বের দারস্হ হন অনুপমরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সৌমেন মিত্রর সাথে বৈঠকে বসেন অধীর চৌধুরী। জানাগেছে, সেখানে সব সমস্যার কথা তাকে জানানোর জন্য অধীরবাবুকে নির্দেশ দিয়েছিলেন উত্তর কলকাতার ছোড়দা। তবে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে অনুপম ঘোষের দাবী, “দীর্ঘ সময় ধরে আশ্বাস পেলেও কোন কিছুরই বাস্তবায়ন হয়নি”। “দলের মধ্যে কার্যত কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল আমাদের”। “মুক্তি পেতে বিজেপি তে যোগ দিলাম”। “দল বদলের পিছনে রয়েছে বৃহত্তর রাজনৈতিক কারন”। “বর্তমান পরিস্হিতিতে তৃণমূলকে পরাজিত করা মূল লক্ষ্য”। “আর আমরা যখন সেই দাবীতে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে চাইছি তখন কংগ্রেসের কিছু নেতৃত্বের মত তৃণমূলের সাথে জোট করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে”। “বহুবার এআইসিসি-কে সবকিছু জানিয়ে চিঠি দিয়েছি কিন্তু কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি”। “অবশেষে দলত্যাগ করতে বাধ্য হলাম”। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মিত্র স্পষ্ট জানিয়েছে, “গুরুত্ব সহকারে বিষয়টিকে দেখার কোন প্রয়োজন নেই”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here