দেশের সময় ওয়েবডেস্ক:লড়াই যে কঠিন হবে সে সম্পর্কে সকলেই অবগত ছিলেন। তবুও নিজেদের লক্ষ্য থেকে এক বিন্দু সরতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল বুঝিয়ে দিয়েছে এভাবেও ফিরে আসা যায়। টুর্নামেন্টেটা দূরন্ত ছন্দে শুরু হলেও পরপর তিনটি ম্যাচে হার ছিল যথেষ্ট চিন্তার কারন। আর সেখান থেকে ঘুরে দাড়িয়ে ডার্বি সহ দুটি ম্যাচে জয় যেন এক কথায় লাল হলুদ উৎসবের সূচনা। আগামী ২৮তারিখ পুনরায় ঘরের মাঠে রিয়াল কাশ্মীর-এর মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সেই ম্যাচ নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন কোচ আলেহান্দ্রো। তবে চার্চিল ম্যাচ শেষ হওয়ার পরের দিন গোয়া-র বোগমালো বিচে ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেল লাল হলুদ ফুটবলারদের। ক্লান্তি দূর করার লক্ষ্যে আপাতত খেলোয়াড়দের দুই দিনের বিশ্রামে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন কোচ। উল্লেখ্য ম্যাচ জিতলেও ডার্বির পুনরাবৃত্তি ঘটেছে চার্চিল ম্যাচেও। প্রথমে এক গোলে পিছিয়ে পড়েও পরবর্তীতে দুরন্ত ছন্দে খেলায় ফিরে মূল্যবান তিন পয়েন্ট পকেটে পুড়েছে ইস্টবেঙ্গল। এ প্রসঙ্গে লাল হলুদ অধিনায়ক ডিকা বলেন, “তিনটি ম্যাচ হেরে যাওয়া যে কোন দলের কাছেই যথেষ্ট চিন্তার কারন”। “আর সেখান থেকে আমরা পুনরায় খেতাবি লড়াইতে ফিরে এসছি”। “লড়াইটা খুব কঠিন হয়েছিল কিন্তু আমরা শপথ নিয়েছিলাম জয়ের পথে ফিরতেই হবে”। “ড্রেসিং রুম থেকে মাঠ সকলে একটা কথাই জানতাম যে কোন মূল্যে আমাদের জিততে হবে”। “চার্চিল ম্যাচে যখন এক গোলে পিছিয়ে পড়ি তখনও সবাইকে বলেছিলাম আমাদের ঘুরে দাড়াতেই হবে”। তবে এখনই কোন উৎসবে মাততে নারাজ লাল হলুদ ব্রিগেড। এদিন সাংবাদিক সন্মেলনে কোচ আলেহান্দ্রো মেনেনদেজ বলেন, “ম্যাচ জিতলেও বল দখলের লড়াইতে আমরা খুবই চিন্তিত”। “বলের দখল অনেক সময় আমাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে”। “আরও অনেক পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here