দেশের সময় , ওয়েব ডেস্কঃ কয়েক দিন আগেই রোগী মারা যাওয়ার পরে রিপোর্ট এসেছিল করোনা পজ়িটিভ। তার জেরে বিপর্যয়ের মুখে পড়ছিল এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ৭৯ জন চিকিৎসক, নার্স, আধিকারিকদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয় মেডিসিন বিভাগ। এবার যেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
বৃহস্পতিবার ফের বন্ধ করে দিতে হল এনআরএস হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের লেবার রুম এবং প্রসূতি বিভাগের একটি ওয়ার্ড। বেশ কয়েক জন চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর জন্য। স্বাস্থ্য দফতর অবশ্য এখনও কিছু বলেনি এ বিষয়ে।
এনআরএস সূত্রের খবর, কয়েক দিন আগে সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন এক মহিলা। ১৩ তারিখে নিরাপদে জন্ম দেন সুস্থ শিশুর। এর পরেই জ্বর ও শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি একাধিক উপসর্গ দেখা দেয় সদ্যপ্রসূতি মায়ের শরীরে। উপসর্গ দেখে সন্দেহ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁর নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন। বুধবার রাতে রিপোর্ট এলেই চমকে যান সকলে। তিনি কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত বলে জানা যায়।
সঙ্গে সঙ্গে ওই ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের চিহ্নিত করা হয়েছে নমুনা পরীক্ষা করানোর জন্য। নমুনা পরীক্ষা করানো হবে সদ্যোজাত শিশুটিরও। আপাতত ওই সদ্যপ্রসূতি মা ও তাঁর সন্তানকে পাঠানো হয়েছে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের আইসোলেশনে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে মায়ের। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি এই গোটা ঘটনা সম্পর্কে।
কিছুদিন আগেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্মীদের একাংশ জানিয়েছিলেন, ওই হাসপাতালেও সন্তান প্রসবের পর এক মায়ের করোনা পজিটিভ হয়। তার জেরে বন্ধ রাখতে হয় সেখানকার প্রসূতি বিভাগও। চিকিৎসক-নার্স, অচিকিৎসক কর্মীরা হোম কোয়ারেন্টাইনে যান৷
এই ঘটনার পরেই প্রসূতিদের চিকিৎসার জন্য আলাদা নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল, কোনও প্রসূতির উপসর্গ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্ব দিয়ে টেস্ট করাতে হবে, তাঁর সংস্পর্শে আসা চিকিৎসকদের খোঁজ নিতে হবে। একই ওয়ার্ডে থাকা অন্য প্রসূতিদেরও সতর্ক করতে হবে। কিন্তু সমস্ত সতর্কতার পরেও ফের একই ঘটনা ঘটে গেল এনআরএসে।