দেশের সময়: বনগাঁ পুররসভার প্রাক্তন প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে তৃণমূল ছেড়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস ৷ মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উপস্থিতিতে ফের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি।এদিন বিজেপি বিধায়কের সঙ্গেই যোগ দেন কাউন্সিলর মনোতোষ নাথ ও কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত পাল। ঘাসফুলের পতাকা হাতে নিয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘বহিরাগতদের প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হয় না। বিজেপি-তে কাজ করার কোনও পরিবেশ নেই। ভুল বোঝাবুঝির জন্য দল ছেড়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতেই তৃণমূলে ফিরলাম।’ দেখুন ভিডিও:
এদিন দলে ফিরতেই তাঁকে স্বাগত জানালেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসক শংকর আঢ্য।
বিশ্বজিৎ দাস দলে যোগদানের পরেই এদিন সন্ধ্যায় বনগাঁর ১ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এমন প্রতিক্রিয়া জানালেন বনগাঁ শহর তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি শংকর আঢ্য।
সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বনগাঁর প্রাক্তন পৌর প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা শংকর আঢ্য।
বিশ্বজিৎ বাবুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন” যার সঙ্গে অতিতে কিছু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। তিনি দল ছেড়ে ছিলেন। তিনি ফিরে আসায় দল অনেক মজবুত হলো। আগামী দিনে তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্বের পাশাপাশি বিশ্বজিৎ বাবুর নেতৃত্বে আমরা কাজ করব৷ কিছু স্বার্থন্বেষী মানুষ তাদের নিজেদের স্বার্থে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি করেছিল। সে সব মিটে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক কথা উঠেছে ঠিকই কিন্তু বেক্তি গত সম্পর্ক তাঁর সঙ্গে কখনই খারাপ ছিল না৷ করোনা আক্রান্ত হয়ে আমি যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম তখন প্রতি মুহুর্তে বিশ্বজিৎ বাবু আমার এবং আমার পরিবারের খোঁজ নিতেন৷
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনের পর বনগাঁ পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে অনাস্থা এনেছিল একাধিক তৃনমূল সদস্য। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে বিশ্বজিৎবাবু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
আগামীতে বিশ্বজিৎ বাবুর নেতৃত্বে বনগাঁ তৃণমূল সাংগঠনিক উন্নতি ঘটবে বলে জানিয়েছে তিনি শঙ্কর বাবু । একসময় পুর বোর্ডের ব্যাপারে বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতে কি কি রফার চেষ্টা হয়েছিল, তা আমরা তিন-চার জন জানি।সে বিষয়ে পেছন থেকে কলকাঠি নাড়িয়েছিল দলে এখন বড় জায়গায় রয়েছেন এমন ব্যক্তি। বিশ্বজিৎ দাস ফিরে আসায় তাদের চোখে মুখে পরিবর্তন দেখা যাবে।
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বজিৎ দাসকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেক ধন্যবাদ। তিনি দলে যোগদান করার পর আজও তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী দিনে তাঁর নেতৃত্বে বনগাঁ মহকুমায় হারানো ৪ টি আসন আমরা উদ্ধার করতে পারব। তাঁর নেতৃত্বে দলের আরও শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে। আর তাতেই দলের কারও কারও কপালে এখন থেকেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে গেছে।’
অন্যদিকে ,বাগদার বিজেপির বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান প্রসঙ্গে বনগাঁ বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব বলেন নৈতিকতার প্রশ্নে উনি রিজাইন দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারতেন । বাগদার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে প্রতারক৷ উত্তর ২৪ পরগনায় বিজেপিতে ধ্বস নামবে বিশ্বজিৎ দাসের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি বলেছেন উনি জ্যোতিষ হলেন কবে । আগে জানলে হাত দেখিয়ে নিতাম ।