অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিন বিক্রির অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে

0
1030

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিন গ্যারাজে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভার হেলেঞ্চা পঞ্চায়েতে। বাগদার বিজেপি বিধায়ক দুলাল বর এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পঞ্চায়েত প্রধান চায়না বিশ্বাস ও তাঁর স্বামী মৃত্য়ুঞ্জয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।

দু’দিন আগে এই ঘটনা জানাজানি হয়। দুলালবাবু বলেন, “২০০৮ সালে আমি বিধায়ক তহবিলের টাকা দিয়ে হেলেঞ্চা পঞ্চায়েতকে একটি অ্যাম্বুলেন্স দান করেছিলাম। হঠাৎ শুনছি তৃণমূলের প্রধান পাশের গযারাজে ওই ইঞ্জিন খুলে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন।” এই ঘটনায় ওই গ্যারাজ মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত দুলাল বর বাগদার দীর্ঘদিনের কংগ্রেস বিধায়ক। ২০১৬-র ভোটেও তিনি বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসেবে বাগদা থেকে জিতেছিলেন। তবে বছর দুয়েক আগে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে।

পঞ্চায়েতের তরফে বলা হয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সটি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে অনেক দিন ধরেই। সাধারণ মানুষের চলাফেরায় অসুবিধা হচ্ছিল। তাই সেটিকে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছে। চায়না বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, অযথা রাজনীতি করছেন দুলাল বর। তাঁর বক্তব্য, তিনি নিজেও পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে থানায় অভিযোগ করেছেন।

দুলালবাবু বলেন, “তৃণমূলের টাকা লুঠের কোনও সীমানা নেই। উমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা লুঠ করেও ওদের পেট ভরছে না। এখন অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিনও বেচে দিচ্ছে। কোনদিন দেখব পঞ্চায়েত অফিসটাই প্রোমোটারকে বিক্রি করে দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “হেলেঞ্চা পঞ্চায়েতে চায়না এবং তাঁর স্বামী লাগাতার লুঠ চালিয়ে যাচ্ছেন। ১০০ দিনের কাজ, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা—সব প্রকল্প থেকে কাটমানি নেওয়া হয়।” বিজেপির স্থানীয় এক নেতা বলেন, “গত তিন-চার বছরে চায়নার সম্পত্তি কত হয়েছে ট্যাব দেখলে তৃণমুলের নেতারাই লজ্জায় মুখ ঢাকবেন। তিনি আরও বলেন, একুশে বিসর্জনের বাজনা বেজে গিয়েছে বুঝেই যা পারছে তাই চুরি করছে।

Previous articleআগামী কাল মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ, উচ্চ মাধ্যমিক সম্ভবত ১৭ জুলাই,জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
Next articleউপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হল শচীন পাইলটকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here