দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃফের ফাঁসি পিছিয়ে গেল নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের। কথা ছিল ১ ফেব্রুয়ারি চার দোষীর ফাঁসি হবে। আদালতের পরবর্তী নির্দেশের আগে ফাঁসি দেওয়া যাবে না বলে এদিন রায় দিয়েছেন দিল্লি পাতিয়ালা আদালতের অ্যাডিশনাল সেশন বিচারক ধর্মেন্দ্র রাণা।
দিল্লির বিশেষ আদালত মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে বলেছিল, ২২ জানুয়ারি ৪ দোষীর ফাঁসি দিতে হবে। এর পর সুপ্রিম কোর্টে রায় সংশোধনের আর্জি জানিয়েছিল দুই অভিযুক্ত। সেই আর্জি খারিজ হওয়ার পর দিল্লি হাইকোর্টে দিল্লির নিম্ন আদালতের ওই মৃত্যু পরোয়ানার রায় চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করে মুকেশ সিং।
এর পরেই নির্ভয়া কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি পিছিয়ে যায়। ২২ জানুয়ারি ফাঁসি দেওয়া যাবে না বলে রায় দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। পরবর্তী নির্দেশে বলা হয় ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ছ’টায় ফাঁসি হবে নির্ভয়া-কাণ্ডের অপরাধীদের। আগের ফাঁসির তারিখ পিছিয়ে যাওয়ার পরে ফের নতুন তারিখ ঘোষণা করে দিল্লি আদালত। এবার ফের পিছল ফাঁসি। তবে এবার আর নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
নির্ভয়া-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়া চার জনের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করতে বৃহস্পতিবারই মিরাট থেকে তিহাড় জেলে এসে পৌঁছন পবন জল্লাদ। ১ ফেব্রুয়ারি তাদের ফাঁসি দেওয়ার কথা থাকায় শুক্রবার জেলে ফাঁসির মহড়া দেন পবন।
পবন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে নির্ভয়া মামলায় দোষী চার জনকে ফাঁসি দিতে তিনি প্রস্তুত। তিনি বলেছিলেন, “যখন ওই দোষীদের ফাঁসি হবে তখন আমি তো বটেই, নির্ভয়ার মা-বাবা এবং দেশের প্রতিটি মানুষই তৃপ্ত হবেন। এই ধরনের লোকজনের ফাঁসিই হওয়া উচিত।” কিন্তু আপাতত সেই ফাঁসি হচ্ছে না শনিবার।
এতে অবশ্য সারা দেশের মানুষের পাশাপাশিই বিরক্ত ও হতাশ নির্ভয়ার মা। তাঁর প্রশ্ন, সাত বছর ধরে এই টানাপড়েন চলছে, এখনও কেন কার্যকর হল না ফাঁসির সিদ্ধান্ত। তাঁর অভিযোগ, ফাঁসি পিছোনোর জন্যই রোজ নিত্যনতুন বাহানা তৈরি করে একের পর এক আবেদন করে চলেছে অপরাধীরা।