দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কয়েকদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য আম পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ পদ্মা পাড়ের থেকে আম এসেছিল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের জন্যও৷ আম পাঠানোর জন্য চিঠি লিখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
নরেন্দ্র মোদী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের জন্য বাংলাদেশের রংপুর জেলার বিখ্যাত হাড়িভাঙা আম পাঠিয়েছিলেন শেখ হাসিনা৷ সবমিলিয়ে প্রায় ২২০০ কেজি আম এসেছিল বাংলাদেশ থেকে৷ শুধু পশ্চিমবঙ্গের জন্যই এসেছিল ৪০০ কেজি আম৷ প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি শুধু নন, সরকারি উচ্চপদস্থ আমলাদের জন্যও আম এসেছিল প্রতিবেশী দেশ থেকে৷
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বরাবরই মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত আন্তরিক৷ শেখ হাসিনাকে পাঠানো মমতার চিঠিতেও তা স্পষ্ট৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দি বলে সম্বোধন করে মমতা লিখেছেন,শ্রদ্ধেয়া হাসিনা দি, আপনার পাঠানো আম পেয়ে আমার খুব ভাল লেগেছে। বাংলাদেশের রংপুর জেলার হাড়িভাঙ্গা আমের নাম আমি শুনেছিলাম। আগে কখনও খাইনি। আপনি এত আম পাঠিয়েছেন যে, আমি দু’হাত ভরে বিলিয়েছি। আমি সত্যিই আপ্লুত। শ্রদ্ধা নেবেন।’
‘মুখ্যমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছেন, ‘ওই আমের মধ্যে বাংলাদেশের যে সৌরভ মিশে আছে তাঁকে আমি সম্মান জানাই৷ আমি সত্যিই আপ্লুত৷’
অতীতে তিস্তার জলের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছেন শেখ হাসিনা৷ আবার বাংলাদেশের ইলিশ কেন আসছে না, তা নিয়ে হাসিনার কাছে দরবার করেছেন মমতাও৷ কিন্তু তিস্তার জল বা বাংলাদেশের ইলিশের জন্য যে মমতা- হাসিনার সম্পর্কের উষ্ণতা এতটুকু কমেনি, আম কূটনীিততে তা ফের প্রমাণিত হল৷
ওই আমের নাম আগে শুনলেও কখনওই খাননি মুখ্যমন্ত্রী। তা জানিয়ে তিনি চিঠিতে লেখেন, ‘শ্রদ্ধেয়া হাসিনা দি, আপনার পাঠানো আম পেয়ে আমার খুব ভাল লেগেছে। বাংলাদেশের রংপুর জেলার হাড়িভাঙ্গা আমের নাম আমি শুনেছিলাম। আগে কখনও খাইনি। আপনি এত আম পাঠিয়েছেন যে, আমি দু’হাত ভরে বিলিয়েছি। আমি সত্যিই আপ্লুত। শ্রদ্ধা নেবেন।’