দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মধ্যপ্রদেশের বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছাড়লেন। হোলির সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার পর কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়লেন মাধব রাও সিন্ধিয়ার ছেলে।
মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার যখন সঙ্কটে তখন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাঁর নাকি সোয়াইন ফ্লু হয়েছে। কিন্তু হোলির সকালেই দেখা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে দেখা করতে যান জ্যোতিরাদিত্য। ফলে অনেকেই আন্দাজ করছিলেন আজই হয়তো কংগ্রেস ছাড়তে পারেন মাধব রাও সিন্ধিয়ার ছেলে। আর হলও তাই।
জ্যোতিরাদিত্য যখন মোদীর বাসভবনে বৈঠক করছেন, তখন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল ও কে সি বেণুগোপাল। কংগ্রেস তাঁকে বহিষ্কার করেছে জ্যোতিরাদিত্যকে।
সরকার ভাঙা-গড়া নিয়ে রীতিমতো নাটক শুরু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে। দোলের রাতেই মন্ত্রিসভার সমস্ত সদস্যদের থেকে ইস্তফা নিয়ে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। তার আগেই বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠ ১৭ জন বিধায়ক উড়ে গিয়েছেন বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে। এখন জানা যাচ্ছে সেই সংখ্যাটা ২০তে এসে দাঁড়িয়েছে।
এখন কী করবেন জ্যোতিরাদিত্য?
অনেকের বক্তব্য, সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য। আবার অনেকে মনে করছেন, সরাসরি যোগ না দিয়ে নতুন দল গড়ে বিজেপির সমর্থন নিয়ে মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়তে পারেন। অনেকে আবার এও বলছেন, এদিন বিকেলে বিজেপি তাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিতে পারে।
মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এমনিতে সুতোয় ঝুলছিল। ২০১৮ সালে বিধানসভা ভোটে জিতলেও বিজেপির সঙ্গে আসন সংখ্যার ফারাক বিশেষ ছিল না। সেই সুযোগই নিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য। ১৭ বা ২০ জন বিধায়ক বিক্ষুব্ধ হয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলে কংগ্রেসের সরকার এমনিতেই পড়ে যাবে। অনেকের মতে সেই অঙ্কেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে গেরুয়া শিবির। মধ্যপ্রদেশের এই পরিস্থিতি এরপর কোন দিকে গড়ায় এখন সেটাই দেখার।