দেশের সময়,বনগাঁ: সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো বনগাঁয়। এলাকার বাসিন্দাদের সন্দেহ, জন্মানোর পর কোনো এক অজ্ঞাত কারণে শিশুর বাবা-মা তাকে মেরে ঘরের মধ্যে রেখে দিয়েছিল। যদিও পুলিশের কাছে শিশুর মা দাবি করেছেন, খুন নয়, জন্মের পর কোনও কারনে এমনিই মারা গেছে তার সন্তান। ঘটনার তিনদিন পরে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বনগাঁ থানার ঠাকুরপল্লী এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো দীপঙ্কর সরকার ও তার স্ত্রী মনীষা সরকার। ওই মহিলাকে বাইরে থেকে দেখলে সন্তানসম্ভবা বলে মনে হতো। সে ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি প্রতিবেশীদের বলতেন তার পেটে বড় টিউমার হয়েছে তার জন্য এই রকম চেহারা। গত সোমবার সকাল বেলায় শিশুর কান্না শুনতে পান প্রতিবেশীরা।
এ ব্যাপারে কোন কিছু বলতে চাননি দম্পতি। কিছুক্ষণ পরই ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্বামী। মঙ্গলবার থেকে ওই বাড়িতে তালা বন্ধ। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেন। কিন্তু কিছু না পেয়ে চলে যায় পুলিশ। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয় । পুলিশ ঘর থেকে একটি বস্তু উদ্ধার করে। খুলে দেখা যায় তার মধ্যে একটি সদ্যোজাত শিশুর পচে যাওয়া দেহ রয়েছে। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুর মা কে আটক করেছে পুলিশ।