দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লকডাউনের নিয়ম ভাঙলেই অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর ঢুকিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। সেখানে আবার রয়েছেন ‘এক করোনা আক্রান্ত’। নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বলা হচ্ছে, লকডাউন না মেনে রাস্তায় বেরনোর শাস্তি স্বরূপ এই কোভিড আক্রান্তের সঙ্গেই হাসপাতালে পাঠানো হবে তাদের। তারপর হবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনা তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরের। সেখানকার পুলিশকর্মীদের এ হেন কাণ্ড-কারখানা দেখে আপাত দৃষ্টিতে জনগণের রাগ হওয়ারই কথা। কিন্তু টুইটারে ওই ভিডিও পুরোটা দেখার পর হেসে গড়াচ্ছেন নেটিজেনরা।
আসল ব্যাপারটা কী!
করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। প্রশাসনের তরফে বারবার সকলকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বেরোন সেই অনুরোধও করা হয়েছে। তবে সরকারের সেইসব নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করেই স্কুটি নিয়ে সফরে বেরিয়েছিল জনাচারেক যুবক। কোনও জরুরি প্রয়োজনও ছিল না তাদের।
তিরুপ্পুরের ফাঁকা রাস্তায় স্কুটি সমেত তাদের পাকড়াও করে পুলিশ। তারপর রাস্তার পাশে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে দেয়। ভিতরে আগে থেকেই ছিলেন একজন। পরনে মাস্ক এবং কোভিড আক্রান্তের পোশাক। দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত। এমন এক রোগীর সামনে লকডাউন অমান্যকারী যুবকদের ছেড়ে দেন পুলিশকর্মীরা। তারপর বলেন ওই আক্রান্তের সঙ্গেই হাসপাতালে পাঠানো হবে তাদের। তারপর হবে টেস্ট।
এদিকে করোনা আক্রান্তের পোশাক পরা ব্যক্তিও ততক্ষণে নিজের স্ট্রেচার ছেড়ে উঠে পড়েছে। যুবকদের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলতে শুরু করেছেন, “তোমরাও করোনায় আক্রান্ত হতে চাও!” পরিস্থিতির চাপে ততক্ষণে বেহাল দশা ওই যুবকদের। পালানোর জন্য শেষে অ্যাম্বুল্যান্সের জানলা দিয়ে গলে বেরোতে যায় তারা। কিন্তু তাতেও রক্ষে নেই। জানলার তলায় দাঁড়ানো পুলিশকর্মী ঠেলে তাদের ফের অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরেই ঢুকিয়ে দেন।
শেষ পর্যন্ত ওই যুবকদের ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা দেখে অ্যাম্বুল্যান্সে দরজা খুলে দেন পুলিশকর্মীরা। হাসতে হাসতে বলতে থাকেন, লকডাউন অমান্য করায় অভিযুক্তদের শাস্তি দিয়েই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুখে মাস্ক, প্লাস্টিকের পোশাক পরা ওই ব্যক্তিও পুলিশেরই লোক। সবটাই সাজানো। সামান্য ভয় দেখিয়ে শাস্তি দেওয়াই আসল উদ্দেশ্য যাতে আর কেউ লকডাউন লঙ্ঘন করে বাড়ির বাইরে না বেরোন।
এই ভিডিও ভাইরাল হতেই হাসির রোল উঠেছে নেট দুনিয়ায়। নেটিজেনদের প্রায় সকলেই বলছেন, একদম ঠিক কাজ করেছে পুলিশ। এত বার বলা সত্ত্বেও যারা নিছক মজা করে বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছে তাদের এভাবেই শাস্তি দেওয়া উচিত। যাতে দ্বিতীয়বার এমন কাণ্ড করার আগে লোকে দু’বার ভাবে।দেখুন ভিডিও