দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে মাদক কাণ্ডে জামিন পেলেন মডেল-অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। প্রায় এক মাস মুম্বইয়ের মহিলা জেল অর্থাৎ বাইকুল্লা জেলে ছিলেন তিনি। গতকাল ফের একবার তাঁর বিচারবিভাগীর হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছিল আদালত। আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে জেলে থাকারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে তারপরই জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন রিয়া। আজ সকালে সেই জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে বম্বে হাইকোর্ট।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বুধবার ১ লক্ষ টাকার বন্ডে আদালতে জামিন পেয়েছেন রিয়া। তবে জামিন পেলেও আগামী ১০ দিন তাঁকে থানায় হাজিরা দিতে হবে। এছাড়াও রিয়াকে থানায় পাসপোর্টও জমা রাখতে হবে। পাশাপাশি গ্রেটার মুম্বইয়ের বাইরে যেতে হলে তদন্তকারী আধিকারিকের অনুমতি নিতে হবে তাঁকে। এছাড়া দেশের বাইরে যেতে গেলেও রিয়াকে অনুমতি নিতে হবে আদালতের।
Rhea Chakraborty gets bail on personal bond of Rs 1 lakh.
— ANI (@ANI) October 7, 2020
Court says, "Rhea should mark her presence for 10 days in police station after release, deposit her passport, not travel abroad without court permission & inform investigating officer if she has to leave Greater Mumbai" https://t.co/TBCLt1Cblx
তবে রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে মাদক যোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন শৌভিক। দুই ড্রাগ পেডলার জাইদ ভিলাত্রা এবং আবদুল বসিত পরিহারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল বলেও তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারেন নারকোটিক্স ব্যুরোর তদন্তকারীরা।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সেদিন সন্ধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। রিয়াকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি এনসিবি। ফলে আদালত প্রথম দফায় ১৪ দিনের জন্য রিয়াকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয়। ৯ তারিখ সকালে একবার জামিনের আবেদন করেছিলেন রিয়া। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হওয়ার পর রিয়াকে বাইকুল্লা জেলে পাঠানো হয়েছিল।
এরপর ১৪ দিনের মাথায় প্রথম জুডিশিয়াল কাস্টোডির মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন আবার রিয়া চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। দ্বিতীয় বার জুডিশিয়াল কাস্টোডির মেয়াদ শেষের দিন জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আবারও ১৪ দিনের জন্য রিয়াকে বাইকুল্লা জেলে থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। গতকালের ঘটনা নিয়ে তৃতীয় বার রিয়ার বিচারবিভাগীর হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে শেষ পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সুশান্ত মামলায় আর্থিক কেলেঙ্কারি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তদন্ত চলাকালীন ইডির হাতে এমন কিছু হোয়াটসআপ চ্যাটের অংশ-বিশেষ আসে যার থেকে তদন্তকারীদের সন্দেহ হয় যে সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় সম্ভবত মাদক যোগ রয়েছে। এরপ নারকোটিক্স ব্যুরোকেও তদন্তে নামার আবেদন জানায় ইডি।
ইডির থেকে চিঠি পাওয়ার পরেই তদন্তে নামে এনসিবি। তারপর থেকে মাদক চক্রের একাধিক রাঘবোয়াল পাকড়াও হয়েছে এনসিবির জালে। অদ্ভুত ভাবে এদের সকলের সঙ্গেই বলিউডের সুদৃঢ় যোগাযোগ রয়েছে। এই মাদক যোগেই রিয়া এবং তাঁর ভাই শৌভিককে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি।