দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দিনকয়েক আগেই জানিয়েছেন, বাংলাকে একশোবার গুজরাত করা হবে। যদিও সেই কথা গুজরাতের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলা বলেই দাবি করে রাজ্য বিজেপি। যদিও উন্নয়নে গুজরাতের থেকে বাংলা যে এগিয়ে, তা বারবার পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতারা। এবার ভোটের আগে কর্মসংস্থান নিয়েও বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ভোটের আগেই রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে পুরোদমে উদ্যোগী হলেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে একাধিক বিনিয়োগের বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালিতে ২০টি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাকে জমি দেওয়া হল। উইপ্রো আগেই জমি চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে। সেই আবেদন মেনে তাদেরও জমি দেওয়া হচ্ছে। মমতার কথায়, ‘সিলিকন ভ্যালিতে একশো একর জমি দিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, খালি পড়ে থাকবে। কিন্তু সব পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তাই আরও একশো একর জমির দাবি এসেছে। এই একশো একর জমিও দিয়ে দিলাম।’ তাঁর দাবি, মূল শিল্পের পাশাপাশি ওই এলাকায় নানা সহযোগী শিল্পও গড়ে উঠবে। এতে হাজার হাজার ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান হবে। অপরদিকে, একটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার গড়ার জন্যে ইনফোসিসকে আহ্বান করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে সাড়া দিয়েছে ইনফোসিস। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ২০ ডিসেম্বর তারা পরিকল্পনা জমা দেবে। আর নির্মাণ শুরু হবে ২০২১ সালের জুলাই মাসের মধ্যেই। ২৪ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বাংলার যুব সম্প্রদায়ের জন্যে অনেক চাকরির বন্দোবস্ত হবে। তবে শুধু কলকাতা, নিউটাউন নয়। জলপাইগুড়িতে স্টার সিমেন্টকে জমি দেওয়া হয়েছে। সেখানে কারখানা গড়ে উঠলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হবে বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জমির খাজনা অনেকেই লকডাউন আর আর্থিক সংকটের জন্যে মেটাতে পারেননি। ভূমি আইন অনুযায়ী, সেই বকেয়া খাজনা মেটাতে হলে চড়া হারে (৬.২৫%) সুদ দিতে হয়। তাই ২০২১ সালে জুন মাসের মধ্যে ওই বকেয়া খাজনা জমা করলে কোনও সুদ দিতে হবে না বলেও ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।