দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভারতে এসে মঙ্গলবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিও। তিনি বলেন, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা। এদিন তিনি শহিদ সৈনিকদের স্মারক স্তম্ভ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি বলেন, সম্প্রতি গালওয়ান উপত্যকায় যে ভারতীয় সৈনিকরা জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি আমি সম্মান জানাচ্ছি। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে ভারতের পাশে আছে আমেরিকা।
গত ১৫ জুন গালওয়ানে টহলরত ভারতীয় সেনার উপর আচমকা হামলা করে চিনা সেনা। এই হামলায় ২০ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। পাল্টা মারে চিনের প্রায় ৩৫ জওয়ান নিহত হয় বলে খবর। অবশ্য চিনের তরফে এই সংখ্যা জানানো হয়নি। এরপর থেকে দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তারপর থেকে সীমান্তে উত্তাপ ক্রমাগত বাড়ছে। একদিকে যেমন সেনা বাড়াচ্ছে লাল ফৌজ, অন্যদিকে তেমনই সেনা বাড়াচ্ছে ভারতও। শীতেও যাতে সীমান্তে সেনা থাকে তার বন্দোবস্ত করেছে ভারত। নিয়ে যাওয়া হয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র।
এই পরিস্থিতিতে গত সোমবার ভারতে এসেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার ও বিদেশ সচিব পম্পিও। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে তাঁরা বৈঠকে বসবেন। সোমবারই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার একটি বিবৃতি দেন। তাঁরা বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদের ভারত সফরের সময়েই প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। তাতে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাদের বৈঠকের আগে আমেরিকা থেকে বলা হয়েছে, ভারত যে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বড় শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে, সেজন্য আমরা খুশি। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে আমরা ভারতের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করতে তৈরি।
রবিবার রাতে মাইক পম্পিও টুইট করে বলেন, “ভারতের পরে আমি শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং ইন্দোনেশিয়াতে যাব। ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে মত বিনিময় হবে।” দিল্লিতে পম্পিও এবং এসপার দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও। অন্যান্য সরকারি কর্তা ও শিল্পপতির সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হবে।
গত সপ্তাহে আমেরিকা থেকে বলা হয়, লাদাখে ভারত-চিন সেনা সমাবেশের ওপরে তারা নজর রাখছে। নয়াদিল্লির সঙ্গে নানা তথ্যের আদানপ্রদান করছে ওয়াশিংটন। লাদাখে যাতে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য চেষ্টা করছে তারা।