দেশের সময় বনগাঁ: এ যেন জয় এর আগে বিজয় মিছিল। শুক্রবার সকালে পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে যশোর রোড ধরে বিশাল মিছিল করল তৃণমূল।
বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী মমতা বালা ঠাকুর কে নিয়ে এই মিছিলের আয়োজন করেন ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ।
পায়ে হেঁটে মিছিলে শামিল হন প্রচুর মানুষ। ভোটারদের উদ্দেশ্যে মমতা ঠাকুর হাত নাড়েন। মিছিল শহরের বিএস এফ ক্যাম্প মোড়ে শেষ হয়। দলীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকার রঙে বেলুন দিয়ে দৃষ্টিনন্দন করা হয় মিছিলকে।
মিছিলে কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখে আপ্লুত মমতা ঠাকুর বলেন, আজকের এই মিছিল দেখে মনে হচ্ছে যে আমাদের জয় হয়ে গেছে। শুধু ঘোষণার অপেক্ষা। জেতার ব্যাপারে আগেই নিশ্চিত ছিলাম।
আজকের মিছিলের পর সেটা আরও দৃঢ় হলো। পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের অভাবনীয় জয় এসেছে। গোটা ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতে আশা করছি এই লোকসভা নির্বাচনে সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
পঞ্চায়েত এলাকার প্রচার শেষ করে দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী কে নিয়ে মহা মিছিল বের হয় বনগাঁ শহরে। তিন নম্বর টালিখোলার কাছে কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে মিছিল শুরু করেন মমতা ঠাকুর।
তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ শহর তৃণমূল সভাপতি তথা পৌর প্রধান শঙ্কর আঢ্য, প্রাক্তন পৌরপ্রধান জ্যোৎস্না আঢ্য, রতন ঘোষ এবং অন্যান্যরা। মিছিল মতিগঞ্জ বাটার মোড়ের কাছে টাউন কালীবাড়িতে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়ায়৷
সেখানকার মন্দিরে প্রণাম করে ফের শুরু হয় মিছিল। এর পর় বাটার মোড়, স্টেশন রোড ধরে মিছিল শেষ হয় রেল বাজার এর কাছে নিউ বাটা মোড় এলাকায়৷গোটা পথে প্রচুর তৃণমূল কর্মী, সমর্থক এই মিছিলে পা মেলান।
প্রার্থী আশপাশের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শহরের এই মিছিলের অন্যতম উদ্যোক্তা শঙ্কর আঢ্য বলেন, কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি আমাদের মনের জোর আরো অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিরোধীদের মিছিলের থেকেও আমাদের এই মিছিল অন্য মাত্রা পেয়েছে। ২৩ তারিখে তার প্রমাণ মিলবে।