দেশের সময়, বনগাঁ: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর বনগাঁয় পা রাখলেন মতুয়া বাড়ির ছেলে শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুরকে ঘিরে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। শান্তনু ঠাকুরকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বনগাঁ শহরের মতিগঞ্জে সেই সংবর্ধনার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন বনগাঁ বিজেপির দাপুটে নেতা দেবদাস মন্ডল। অনুষ্ঠানে হাজির হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরাও।
তবে এই অনুষ্ঠানে দেখা গেল না বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। অনুষ্ঠানে আসেননি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব, দলের বনগাঁ পৌর মণ্ডলের (উত্তর) সভাপতি শোভন বৈদ্য সহ অনেককেই। বনগাঁয় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের চলে এল প্রকাশ্যে।
বিধায় বিশ্বজিৎ দাস জানান, ‘ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় এসেছিলাম তাই ওই অনুষ্ঠানে থাকতে পারিনি।’
বনগাঁয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সম্বর্ধনা সভায় আমন্ত্রণ নিয়ে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এলো । আমন্ত্রণ পাইনি জেলা সভাপতি,সহ-সভাপতিসহ অন্যান্য পদাধিকারী। ক্ষোভের সঙ্গে তাঁরা যা জানালেন..
এই বিষয়ে বনগাঁ বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব বলেন, এমন কোনো অনুষ্ঠানের কথা আমার জানা নেই আমাকে কেউ যানায়নি । এটা কোনো স্থানীয় স্তর থেকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে আর এখানে শুভেন্দু দা আসবে এই বিষয়ে রাজ্য থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি । অনুষ্ঠানের আয়োজক দেবদাস মন্ডল প্রসঙ্গে বলেন, আমি ছোট থেকে জানি উনি একটা ক্রিমিনাল ছাড়া আর কিছু নয়, কমিটিতে নিতে রাজি ছিলাম না শান্তনু ঠাকুরের কথায় কমিটিতে নিয়েছিলাম ওনার প্রচুর ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড আছে৷
শোভন বৈদ্যর কথায়, ‘আমার পৌরমণ্ডল এলাকায় অনুষ্ঠান হলেও উদ্যোক্তারা আমন্ত্রণ জানায়নি। তাই ওই অনুষ্ঠানে যাইনি।’ ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জেলার সহ-সভাপতি জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষকেও।
এই বিষয়ে বনগাঁ বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ জানিয়েছেন দেবদাস মন্ডল বিজেপির প্রটোকল না মেনে দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল করছেন । তাকে বৃহস্পতিবার এ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ।
এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ সংবাদ মাধ্যমকে জানান এই অনুষ্ঠানে কে এল আর কারা আসতে পারেনি এটা নিয়ে আপনাদের ভাবতে হবে না। এটা আমাদের কাজ।’
যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বনগাঁ পৌর প্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন এটা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল কিনা আমরা জানি না । কিন্তু দল যে ভেঙে যাচ্ছে তার একটা প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পেলাম এদিন বনগাঁতে ।
সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল এর কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি ।