দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানে বড়সড় জঙ্গি নাশকতার শিকার হয়েছে পাক সেনাবাহিনী। জঙ্গিদের গুলিতে নিহত পাক সেনার ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার এক অফিসার সহ ১১ জন সেনা। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে মঙ্গলবার রাত থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ চলছে পাক বাহিনীর। এলাকার ৬ জন বাসিন্দাকে পণবন্দি করা হয়েছে বলেও খবর।
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, খাইবার পাখতুনখোয়াতে কয়েকদিন ধরেই জঙ্গিদের উপদ্রব শুরু হয়েছে। কোন সংগঠনের গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে তা প্রকাশ্যে আনেনি পাকিস্তান। জানা গেছে, গতকাল রাতে খুররাম এলাকায় পাক বাহিনী যখন রুটিন টহলদারি বেরিয়েছিল, আচমকাই সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। দু’পক্ষের গুলির লড়াইতে নিহত হয়েছেন পাক সেনার ক্যাপ্টেন আবদুল বাসিত। আরও ১১ জন সেনার প্রাণ গিয়েছে বলে খবর। জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর জখম ১৫ জন।
পাক সেনার মুখপত্র ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশন (আইএসপিআর) কে উদ্ধৃত করে পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল জিও টিভি জানিয়েছে, ৬ জন টেলিকম কর্মীকে পণবন্দি করে রেখেছে জঙ্গিরা। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপরেও হামলা হয়েছে। খুররাম এলাকায় জঙ্গি দমনের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছিল ক্যাপ্টেন আবদুল বাসিতকে। তাঁকেই গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় জঙ্গিরা। তবে গুলির লড়াইতে তিন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বস্তুত, চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কেন্দ্রবিন্দু এই গদর শহর। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও বিদেশি আধিকারিকরা এখানে কাজ করেন। ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার মোড়কে ঘিরে রাখা হয় এই অঞ্চল। সেখানেই বার বার হামলা চালায় জঙ্গিরা। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেও একাধিকবার জঙ্গি নাশকতা হয়েছে। এই ব্যাপারে পাক সরকারের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।