দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গল্প কথায় আছে মাঘের শীত বাঘের গায়ে! মঙ্গলবার একধাক্কায় তিন ডিগ্রি কমেছে শহরের তাপমাত্রা। ফিরেছে শীতের আমেজ। বুধবার সকালে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমেছে। এ দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে কম।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, যাওয়ার আগে কামড় দিয়ে যাবে শীত। পরপর পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও। উত্তুরে হাওয়ার বাধা কাটিয়ে ফের ঠান্ডা ফিরে এসেছে রাজ্যে। চলতি সপ্তাহে কমবেশি এই পরিস্থিতি চলবে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবারের পর ১২ ডিগ্রির কাছাকাছি নামতে পারে পারদ।
পৌষের শেষ দিন থেকে শীতে গেরো লেগেছে। পরপর পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে রাতের তাপমাত্রা উঠে যায় ১৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ২৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এমন ‘উষ্ণ’ জানুয়ারি অবশ্য এই প্রথম নয়। কিন্তু মাঘের শুরুতে টানা ৫-৬ দিন এমন চড়া তাপমাত্রা ২০০৯ সালের পর তেমন একটা দেখা যায়নি।
সোমবার বিকেলের পর থেকে শীতের কপাল খুলতে শুরু করে। মাঘে প্রথমবার শীতের আমেজ পায় আমজনতা। উত্তুরে বাতাসের হাত ধরে মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যায় ১৩.৮ ডিগ্রিতে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অবশ্য ২৫ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় দিনে ঠান্ডার অনুভূতি ছিল না। আবার ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব ফেরে সন্ধের পর।
আলিপুরের আবহবিদরা জানিয়েছেন, দিনের বেলায় শীত আর ফিরবে না। কিন্তু শুক্রবার থেকে সপ্তাহান্তে রাতে জমাটি শীত ফিরবে। এই মুহূর্তে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কাশ্মীরে ঢুকছে। সেটির প্রভাবে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা একটু বাড়তে পারে। পরবর্তী ঝঞ্ঝাটি কাশ্মীরে ঢুকবে ২৪ জানুয়ারি নাগাদ। এই দুই ঝঞ্ঝার ফাঁকেই সাময়িক খোলা মাঠ পাবে উত্তুরে হাওয়া। তাই শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত জমাটি ঠান্ডার আমেজ পাবে বঙ্গবাসী।