দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ এর আগেও বহুবার হ্যাকার হামলার কবলে পড়েছে বিশ্বের প্রভাবশালী ও ধনকুবেরদের টুইটার অ্যাকাউন্ট। আর এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হল। প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের টুইটার হ্যান্ডেল ও মোবাইল অ্যাপ হ্যাক হয়েছে বলে জানা গেছে।
টুইটারের তরফে জানানো হয়েছে, narendramodi_in নামে মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আজ সকালে বেশ কিছু ভুয়ো টুইট ছড়িয়ে পড়ে। তার পরেই সতর্ক হয় টুইটার। জানানো হয়েছে, গোটা বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব দ্রুত এই ত্রুটি মেরামত করে ফেলা হবে।
সোশ্যাল মিডিয়াকে বরাবরই পছন্দ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তাও বেশ ভাল। বিশ্ব নেতাদের মধ্যেও এনিয়ে তাঁর নাম রয়েছে। মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে তাঁর ফলোয়ার ৬ কোটিরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ফলোয়ার সংখ্যা বাড়লেও নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকেই টুইটার ব্যবহার করেন। ২০০৯ সালে খোলেন টুইটার অ্যাকাউন্ট। আর ২০১৪ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ফলোয়ার সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে।
narendramodi_in নামে তাঁর আরও একটি টুইটার হ্যান্ডেল আছে, এখানেও ফলোয়ার ২০ লক্ষের বেশি। এই অ্যাকাউন্টই হ্যাকারদের কবলে পড়েছে বলে জানিয়েছে টুইটার।
উল্লেখ্য জুলাই মাসে বিশ্বের একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাকার হামলার কবলে পড়েছিল। সেই তালিকায় ছিল রাজনীতি, তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শিল্পদুনিয়ার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, টেসলা-র সিইও ইলন মাস্ক, আমাজন সিইও জেফ বেজোস, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন-সহ একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়ো টুইট ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছিল।
নিরাপত্তার ফাঁক গলে কীভাবে বিশ্বের তাবড় শিল্পপতি, রাজনীতিকদের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হল এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। গত বছর টুইটার সিইও জ্যাক ডরসির টুইটার অ্যাকাউন্টই হ্যাকারদের কবলে চলে গিয়েছিল। প্রায় ২০ মিনিট তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাকারদের দখলে ছিল। এই সময় সেখান থেকে বর্ণবৈষম্যমূলক ও আপত্তিজনক কথাবার্তা পোস্ট করা হয়। ফলে ছড়িয়ে পড়ে বিভ্রান্তি। যারা ওই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে, তারা নিজেদের চাকল স্কোয়াড বলে পরিচয় দিয়েছিল।
এই ঘটনা নিয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে। তবে এর প্রভাব অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে পড়েছে কি না আমরা নিশ্চিত নই।’ যদিও প্রধানমন্ত্রীর অফিস এই হ্যাকের ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।