দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আবর্জনা ফেলা নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ শুরু,আর তার জেরেই এক গৃহবধূর আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার গাইঘাটায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার পরিবারের অভিযোগ প্রতিবেশীর কটূক্তির কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই তরুণী। এই ঘটনায় একই পরিবারের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রত্না মণ্ডল। একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার ভিত্তিতেই এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃতার স্বামী অমৃত মণ্ডল জানিয়েছেন, গত মে মাসের ১৭ তারিখ থেকে সমস্যার সূত্রপাত। তাদের জমিতে আবর্জনা ফেলেছিল প্রতিবেশী রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের পরিবার। এই নিয়েই দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। নিমেষে অশান্তির পারদ এতই চরমে ওঠে যে মৃতার শ্বশুর প্রফুল্লকে মণ্ডলের গায়ে হাত তোলেন প্রতিবেশী রবীন্দ্রনাথবাবুর স্ত্রী রুনুদেবী। এই নিয়ে স্থানীয় সুটিয়া থানায় অভিযোগ জানায় মৃতার পরিবার।
সাময়িক ভাবে ঝামেলা মিটলেও কদিন পর থেকে ফের শুরু হয় অশান্তি। দীর্ঘ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের পরিবার নানা ভাবে রত্নাকে বিরক্ত করতে বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী পরিবারের করা কটূক্তি সইতে না পেরে অপমানে, লাঞ্ছনায় রত্না আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছে তাঁর পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৯ অক্টোবর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন রত্না। নিজের সুইসাইড নোটে রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল, তাঁর স্ত্রী রুনু মণ্ডল এবং দম্পতির ছেলের নয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন ওই তরুণী। তিনি লিখেছেন, এরাই তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী।
রত্নার সুইসাইড নোট এবং মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন মৃতার পরিবার, এলাকার মানুষ এবং স্থানীয় সুটিয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান।