দেশের সময়, ওয়েব ডেস্ক: ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারাকে পাথেয় করেই আজ রবিবার থেকে শান্তিনিকেতন-এ শুরু হলো পৌষ মেলা। এক কথায় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে বিশ্বকবির তীর্থে উৎসবের সূচনা। কান পাতলে বাউল গান আর পৌষের হাওয়া গায়ে মেখে সেই সুরে গা ভাসিয়ে দেওয়া সবমিলিয়ে এক অনন্য উৎসবের ঘনঘটা। আজ সকালে বৈতালিকের মধ্যে দিয়ে সূচনা ঘটেছে মেলার। যা চলবে আগামী ছয় দিন। মেলা প্রসঙ্গে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন পরিবেশবিদ্ সুভাষ দত্ত। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় চারিত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধের দিক থেকে এই মেলা-কে ভিন্ন ভাবে দেখা উচিৎ”। “১৭টি মেলায় এখনও পর্যন্ত কাজ করেছি কিন্তু এই মেলা সম্পুর্ন আলাদা”। “সবকিছু ভেবে ট্রাইব্যুনালে এবিষয়ে আলাদা করে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি”। “পাশাপাশি দাবী করবো ২০০৭সালে কলকাতা বইমেলা সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে তা নতুন করে ভাবার জন্য”। উল্লেখ্য ২০১৬সালে পৌষ মেলার দূষণ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন সুভাষ দত্ত। যার প্রেক্ষিতে একটি তিন জনের কমিটি গঠিত হয়। যে কমিটির অন্যতম সদস্য সুভাষ দত্ত। মেলা প্রসঙ্গে বিশ্বভারতী-র উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তী বলেন, “দূষণের বিষয় ভাবনা চিন্তা করে পৌষ মেলা শুরুর তিনদিন আগে থেকেই বিদ্যুত সংযোগের ব্যাবস্হা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে”। “দেশ বিদেশ থেকে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ মেলায় এসছেন”। “নামী দামী বাউলদের ভীরও চোখে পড়ার মতো”। “অতএব বলা যেতে পারে অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে এবার নতুন নজির তৈরী করার অপেক্ষায় শান্তিনিকেতন”