

সরকারি নির্দেশিকায় সুবিধার বদলে সমস্যাতেই পড়েছেন সোনা ব্যবসায়ীরা৷
দেশের সময়, বনগাঁ: বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত তাঁদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সময়ে বাজারে কোনও খরিদ্দারেরই কার্যত দেখা মেলেনি সোমরের বাজারে। বনগাঁ বাজারের অনেক সোনার দোকানদারই কাল, মঙ্গলবার থেকে আদৌ দোকান খুলবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছেন।


সোনা ব্যবসায়ী রতন সিনহা বলেন, ‘‘এই নির্দেশিকার কী মানে? কড়াকড়ি করতে হলে সম্পূর্ণ কড়াকড়ি হোক। দুপুরের সময় মাত্র তিন ঘণ্টা আমাদের ব্যবসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই কাঠফাটা রোদে ভরদুপুরে মানুষ কী ভাবে বাজারে আসবেন? তার উপর সমস্ত যানবাহনও বন্ধ!’’ বছরের অন্যান্য সময়ে সাধারণত এই সময় ব্যবসা ভাল হয় সোনার দোকানে। কিন্তু সোমবার দুপুরে বনগাঁ বাজারে একশ টির বেশি সোনার দোকান খুললেও প্রায় কোনও দোকানেই খরিদ্দারের দেখা মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে দোকানের কর্মচারী, বিদ্যুতের বিল-সহ আনুষঙ্গিক খরচ মেটানো সমস্যার হয়ে যাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

সোনার গহনার কারিগর নিমাই বসু ও গোকুল দে বলেন, ‘‘যেমন আগের নির্দেশিকায় সকালে তিন ঘণ্টা ও বিকেলে দু’ঘণ্টা দোকান খোলার নির্দেশ ছিল, তেমন হলেও কিছুটা বেচাকেনা হত। এখন যা হল, তাতে আমাদের শেষ করে দেওয়া হল। বিষয়টা একটু বিবেচনা করে দেখার দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।’’


সোনার ব্যবসায়ীদের মতো একই অবস্থা কাপড়ের ব্যবসায়ীদেরও। তাঁদেরও বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একই পরিস্থিতির শিকার তাঁরাও। বনগাঁ বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী বাপন সাহা বলেন, ‘‘এই সময়ে বাজারে খরিদ্দারের দেখা পাওয়া মুশকিল। এই পরিস্থিতিতে দোকান খোলা না খোলা দুই সমান তবু সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে আমরা কোভিড বিধি মেনে দোকান খোলা রেখেছি এখনও পর্যন্ত’’ ৷
