দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ দেশে কমছে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৬৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭১৩ জনের। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ৭ হাজার ৭১ জন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৩৬ হাজার ৯৯৩ জন।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৮৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩৫০ জন। তাঁদের মধ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ কোটি ৬৫ লাখ ৯৭ হাজার ৬৫৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭০২ জনের।করোনা সংক্রমণ এড়াতে টিকাকরণে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত দেশে টিকা পেয়েছেন ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯ হাজার ৪৪৮ জন। প্রসঙ্গত, ভারতে তৈরি আরও এক করোনা টিকা এবার হাতে আসতে চলেছে। ভারতে উৎপাদিত দ্বিতীয় ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র।
জানা যাচ্ছে, হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই ভ্যাকসিন তৈরি করবে। অগাস্ট থেকে টিকার উৎপাদন শুরু হবে। প্রথম দফায় মিলবে ৩০ কোটি ভ্যাকসিন। এজন্য সংস্থাকে অগ্রিম হিসেবে ১৫০০ কোটি টাকা দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে উৎপাদন প্রক্রিয়া চলবে। উল্লেখ্য, এর আগে ভারতে তৈরি হয়েছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। এই মুহূর্তে কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভারতের হাতে এসেছে রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি।
এদিকে, বিশ্বের একাধিক দেশের সঙ্গে ভ্যাকসিন ভাগ করে নেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বাইডেন প্রশাসন । বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের কোভ্যাক্স গ্লোবাল ভ্যাকসিন শেয়ারিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে গোটা বিশ্বে ৭৫ শতাংশ বাড়তি ভ্যাকসিন বিতরণ করবে আমেরিকা। তালিকায় থাকছে ভারতও। যা নিয়ে ফোনে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷
আগেই জুনের মধ্যে আট কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ সরবরাহের পরিকল্পনা করেছিল হোয়াইট হাউস। যদিও ২৫ শতাংশ ভ্যাকসিন জরুরিকালীন ভিত্তি ও আমেরিকার ‘বন্ধু’ দেশগুলিতে বিতরণ করা হবে। প্রথম দফার আড়াই কোটি ভ্যাকসিনের মধ্যে ভারতেও টিকা পৌঁছনোর আশ্বাস দিয়েছেন বাইডেন। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই ফোনে কথা হয় কমলা হ্যারিসও নরেন্দ্র মোদীর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। টুইট করে বিষয়টি জানান তিনি।
রাজ্যগুলির মধ্যে এখন তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় তা ২৫ হাজারের নীচে নেমেছে। কর্নাটক এবং কেরলে তা ১৮ হাজারের ঘরে রয়েছে। মহারাষ্ট্রে নেমেছে ১৫ হাজারের ঘরে। অন্ধ্রে এখনও ১১ হাজারের বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন রোজ। পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৯ হাজারের নীচে নেমেছে। ওড়িশাতেও তা ৯ হাজারে কম। অসমে তা রয়েছে ৪ হাজারের ঘরে। বাকি রাজ্যগুলিতে দৈনিক আক্রান্ত আড়াই হাজারের নীচে নেমেছে। দিল্লিতে তা কমে হয়েছে ৫০০-র কম।