দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পূর্বাভাস ছিল আগেই। অবশেষে তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করল । গত ২৪ ঘণ্টায় শীত কমে এসেছে অনেকটাই। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৮.৮ ডিগ্রি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শহর ও শহরতলী এলাকায় রবিবার সকালে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিন সকাল থেকে রোদের দেখা মিললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা সহ আশপাশের আকাশ মেঘলা হবে। রাতের দিকে দু-এক পশলা এবং রবিবার সকালে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টি হতে পারে হুগলি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া,পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে। সে ক্ষেত্রে যদিও শীতের আমেজ কিছুটা বজায় থাকবে। তবে তাপমাত্রা কমার কোনও পূর্বাভাস নেই। আগামী ৭২ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই তাপমাত্রা বাড়বে বলে জানিয়েছে আলিপুর। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহারে বজায় থাকবে ঘন কুয়াশার দাপট। যদিও সপ্তাহের শেষে দার্জিলিং ও সিকিমেও বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে খবর ।
Kolkata might enjoy this winter upto 20.02.2021. Afterwards we are entering into a severe summer. An unbearable summer might start on and from first week of March, 2021.
— Dr.Sujib Kar (@SujibDr) February 3, 2021
আবহাওয়াবিদদের মতে, শীতের বিদায় এবার আসন্ন। এখনও বেশ কিছুদিন তাপমাত্রা এভাবে ওঠানামা করলেও ফেব্রুয়ারির শেষে বাংলা থেকে পাকাপাকিভাবে বিদায় নেবে শীত। চলতি বছর গ্রীষ্ম একটু বেশিই দাপট দেখাতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই গলদঘর্ম অবস্থা হতে পারে রাজ্যবাসীর।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এতদিন পর্যন্ত রাজ্যে কোনও বাধা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারছিল উত্তুরে হাওয়া। আর এর জেরেই কমছিল তাপমাত্রার পারদ। কিন্তু বর্তমানে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পথ আটকাচ্ছে উত্তুরে হাওয়ার। ফলে ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। অন্যদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তুরে হাওয়ার পথ আটকালেও উত্তর-পশ্চিম ভারতে তুষারপাতের প্রভাবে রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে শীতল হাওয়া। ফলে দিনে তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে শীত অনুভব করতে পারবেন বঙ্গবাসী। প্রসঙ্গত, বিগত ১০ বছরে এটাই শীতলতম ফেব্রুয়ারি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানান, এই পরিস্থিতি বিরল, কিন্তু আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও জমিয়ে শীত উপভোগ করতে পেরেছিল পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকায় সেভাবে শীত উপভোগ করতে পারেননি সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেই অভাব পূরণ করে দিচ্ছে ফেব্রুয়ারির শীত।
তাই হাসফাঁস গরম পড়ার আগে বাকি শীতটুকু দারুণ ভাবে উপভোগ করতে চাইছে রাজ্যবাসী।