দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ আসছে না এপার বাংলায় ৷ এবছর জামাইষষ্ঠীতে জামাইদের পাতে পড়েছে মায়ানমারের ইলিশ। স্বাদে-গন্ধে সে পদ্মার রুপোলি ইলিশের ধারেকাছে আসে না।
এমনিতে বাংলাদেশের তরফে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকলেও, গত বছর জামাইষষ্ঠীর প্রাক্কালে দু’ হাজার টন পাঠিয়েছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শোনা যাচ্ছে এবছর নাকি ভারতের টিকা না পাঠানো নিয়ে ক্ষুব্ধ ওপার বাংলার বাঙালিরা। যদিও সরকারিভাবে এমন কোনও বিবৃতি দেওয়া না হয়নি, তবে মনে করা হচ্ছে মোদী সরকার টিকা দেওয়া বন্ধ করাতে ইলিশ পাঠানো বন্ধ করেছে বাংলাদেশ এমনটাই গুঞ্জন ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ৷
জানা গিয়েছে, ওপারের প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষ ভারতের পাঠানো টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। কিন্তু দেশে টিকার আকাল তাই মোদী সরকার জানিয়ে দিয়েছে, একটা ডোজও পাঠানো সম্ভব নয় এই অবস্থায়। আর এতেই নাকি ক্ষুব্ধ হাসিনার প্রশাসন। ফলে নরেন্দ্র মোদীর যে ব্যাপক প্রচার করা ভারত-বাংলাদেশ ‘সোনালি অধ্যায়’ আর সোনালি নেই বলে অনেকেই ধারণা করতে শুরু করেছেন।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন -এর সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, গত বছর দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা স্বরূপ ভারতে ১৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। দূর্গাপুজোর আগে ১২ টন ইলিশের প্রথম ট্রাক সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢুকে ছিল উপহার স্বরুপ। এবারও আমরা আশাবাদি এই বর্ষার মরশুমও বৃথা যাবে না। রান্নাঘর থেকে ভেসে আসবে পদ্মার ইলিশের মন মাতানো সুগন্ধ।টিকা করণ সমস্যা মিটিয়ে ফের সুস্থ হয়ে উঠবেন দু’বাংলার মানুষ এবং ভোজন রসিক এপার বাংলার বাঙালির পাতে পড়বে ওপার বাংলার পদ্মার ইলিশ৷
অন্যদিকে, মার্চের বাংলাদেশ সফরে গিয়েও টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বলা হচ্ছে, ভারতের ওপর আস্থা রেখে চীনের টিকা পাঠানোর প্রস্তাবে না করে দেয় হাসিনা সরকার। দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান সহ সব প্রতিবেশী দেশকে টিকা দেওয়া বন্ধ করেছে ভারত। বাধ্য হয়ে সেই চীনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে ঢাকাকে। প্রথমে ১১ লক্ষ ডোজ উপহার হিসেবে দিলেও এখন সুযোগ বুঝে দাম বাড়াচ্ছে চীন। গোটা বিষয়টি নিয়ে খুবই বিরক্ত বাংলাদেশ। শুধু প্রশাসন নয়, বাংলাদেশি জনগণেরও দিন দিন ভারতের প্রতি বিদ্বেষ বাড়ছে। তার প্রভাব পড়েছে ইলিশ রপ্তানিতেও, বলছে ওপার বাংলার সূত্র।