চিনে বাসে জঙ্গি হানা

0
774

দেশেরসময় ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার বিকালে পূর্ব চিনের ফুজিয়ান প্রদেশে জঙ্গি হানা ঘটে। চিনের একটি সরকারি মিডিয়ায় জানানো হয়েছে, বাসে ছুরি নিয়ে উঠেছিল জঙ্গি। ড্রাইভারকে ভয় দেখিয়ে বাস চালাতে বাধ্য করে পথচলতি মানুষের ওপর দিয়ে। নিহত হন পাঁচ জন। আহত হয়েছেন ২১ জন। গত নভেম্বরেই পাকিস্তানের করাচিতে চিনের কনস্যুলেটে হানা দেয় তিন আত্মঘাতী জঙ্গি। বোমা ফাটিয়ে দুই পুলিশ সহ চারজনকে হত্যা করে। যদিও চিনের কোনও নাগরিক ওই হানায় মারা যাননি। চলতি বছরে চিনে একই কায়দায় আরও কয়েকবার জঙ্গি হানা হয়েছে। নভেম্বরের শেষদিকে উত্তর-পূর্ব চিনে লিয়াওনিং প্রদেশে এক প্রাথমিক স্কুলের ছাত্ররা যখন রাস্তা পার হচ্ছিল তখন একটি গাড়ি তাদের চাপা দিতে চেষ্টা করে। পাঁচজন মারা যায়। আহত হয় হয় ১৮ জন। ডিসেম্বরের শুরুতে চিনের দক্ষিণ পশ্চিমে চোংকিং শহরে একটি বাস সেতু থেকে পড়ে গেলে ১৫ জন মারা যান। বাসের মধ্যে এক মহিলা চালককে মারতে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে চালকের হাতাহাতি হয়। তখনই চালক বাসের ওপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।

ফেব্রুয়ারি মাসে সাংহাই শহরে প্রেসারাইজড গ্যাস ট্যাঙ্ক ও পেট্রল ভর্তি বোতল সহ একটি ভ্যান পথচারীদের চাপা দেয়। অন্তত ১৮ জন আহত হন।চিনের মিংশি রিয়াবাও সংবাদপত্রে জানানো হয়েছে, লঙ্গিয়ান শহরে বিকাল তিনটে বেজে ২০ মিনিট নাগাদ জঙ্গিরা হানা দেয়। নিহতদের মধ্যে এক পুলিশকর্মী আছেন। আমেরিকা থেকে সম্প্রচারিত আর এক চিনা সংবাদ মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, একটি বাসের আশপাশে কয়েকজন রাস্তায় পড়ে আছে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হচ্ছে আরও একজনের। লঙ্গিয়ান পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরো থেকে এসম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।ফেব্রুয়ারি মাসে সাংহাই শহরে প্রেসারাইজড গ্যাস ট্যাঙ্ক ও পেট্রল ভর্তি বোতল সহ একটি ভ্যান পথচারীদের চাপা দেয়। অন্তত ১৮ জন আহত হন।মঙ্গলবার কারা হামলা চালিয়েছে এখনও জানা যায়নি। একটি সূত্রের খবর, উইঘুর জঙ্গিরা ওই হামলার পিছনে আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। উইঘুররা চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা। সেখানে স্বাধীন উইঘুর রাষ্ট্রের দাবিতে লড়াই চালাচ্ছে একাধিক সংগঠন। ২০১৪ সাল থেকে শিনজিয়াং-এ জঙ্গি দমন অভিযান চালাচ্ছে চিন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক হিসাবে জানা যায়, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে শিনজিয়াং-এ ১০ লক্ষ মানুষ ‘উইঘুর রি এডুকেশন’ ক্যাম্পে বন্দি আছেন। সেখানে তাদের ওপরে অত্যাচার চালানো হয়। সেই সঙ্গে বোঝানো হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী চিন উইঘুরদের মঙ্গল চায়৷

Previous articleকেক কেটে শুরু হয়েছে আনন্দ উৎসব, বড়োদিনের সকাল থেকেই অন্য ছন্দে লাল হলুদ শিবির
Next article“ব্যাক্তিগত নয়, পারফরমেন্স হবে সমষ্টিগত”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here