দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ একুশ দিনের লকডাউনের মধ্যে রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে বহু গরিব মানুষের। তাঁরা যাতে অনাহারে না থাকেন, সেজন্য এক লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করল মোদী সরকার। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বৃহস্পতিবার বলেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় মাথা পিছু পাঁচ কেজি করে চাল অথবা গম দেওয়া হবে। এক কেজি ডাল দেওয়া হবে। করোনাভাইরাস মহামারী ঠেকাতে যে স্বাস্থ্যকর্মীরা লড়াই করছেন, তাঁদের জন্যও মেডিকেল ইনসিওরেন্স করে দেওয়া হবে।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ৮ কোটি ৬৯ লক্ষ কৃষকের তহবিলে ২ হাজার টাকা দেওয়া হবে। মনরেগায় মজুরি বাড়ানো হবে। আগে দৈনিক মজুরি ছিল ১৮২ টাকা। এখন প্রত্যেক শ্রমিক পাবেন দৈনিক ২০২ টাকা। তাতে পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন।
৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ, বিধবা ও দরিদ্র দিব্যাঙ্গরা এক্সগ্রাসিয়া হিসাবে পাবেন ১ হাজার টাকা। এতে লাভবান হবেন ৩ কোটি মানুষ। তাঁদের অ্যাকাউন্টে ওই টাকা দেওয়া হবে।
দেশে জন ধন অ্যাকাউন্টের মালিক ২০ কোটি মহিলা। তাঁরা পাবেন মাসে ৫০০ টাকা এক্সগ্রাসিয়া। তিন মাস ধরে এই অর্থ দেওয়া হবে।
৮ কোটি ৩০ লক্ষ বিপিএল পরিবার উজ্জ্বলা স্কিমে লাভবান হয়েছেন। তিন মাসে তাঁরা পাবেন তিনটি সিলিন্ডার।
আগে সেলফ হেলফ গ্রুপের মহিলাদের কোনও সম্পত্তি বন্ধক ছাড়াই ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হত। এখন দেওয়া হবে ২০ লক্ষ টাকা। এতে ৭ কোটি পরিবার উপকৃত হবেন।
সংগঠিত ক্ষেত্রে দু’টি ঘোষণা। প্রথমত, সরকার ইপিএফে তিন মাস টাকা দেবে। এখন নিয়োগকর্তা এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে দেন ১২ শতাংশ। কর্মীরা দেন ১২ শতাংশ। আগামী তিন মাসে ২৪ শতাংশই দেবে সরকার। যে সংস্থাগুলিতে ১০০ জন পর্যন্ত কর্মী আছে, সেখানকার যে কর্মীরা ১৫ হাজার টাকার কম বেতন পান, তাঁরা এই সুবিধা পাবেন।
দ্বিতীয়ত ইপিএফও স্কিম রেগুলেশন সংশোধিত হবে। তাতে কর্মীরা ৭৫ শতাংশ টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে তুলতে পারবেন। তা হবে নন রিফান্ডেবল। এতে ৪.৮ কোটি কর্মী লাভবান হবেন।
আমরা রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দেব, যাতে রেজিস্টার্ড ৩.৫ কোটি নির্মাণকর্মীকে বিল্ডিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার্স ফান্ড থেকে সাহায্য করা হয়। ওই তহবিলে ৩১ হাজার কোটি টাকা আছে। দেখুন ভিডিও: