কোভিড ভ্যাকসিন:মাত্র ৯ মাসের মধ্যেই চলে আসতে পারে বললেন বিল গেটস

0
4555

দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ আর হয়ত ন’মাস অপেক্ষা করতে হবে। তার মধ্যেই চলে আসতে পারে কোভিড ভ্যাকসিন। এমনটাই বললেন মাইক্রোসফট কর্তা বিল গেটস।

করোনা ঠেকাতে পারবে এমন ভ্যাকসিন ঠিক কবে বাজারে আসতে চলেছে সেই নিয়ে নানা কথা রটছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি দাবি করেছে তাদের তৈরি ভেক্টর ভ্যাকসিন সেপ্টেম্বরেই বাজারে চলে আসতে পারে। বেশ কিছু সংস্থার দাবি গবেষণা যে স্তরে রয়েছে তাতে হয়ত ভ্যাকসিন তৈরি ও মানুষের শরীরে ট্রায়াল করে তার কার্যকারীতা নিশ্চিত করতে আরও এক বছর সময় লাগবে। মার্কিন এপিডেমোলজিস্ট ও হোয়াইট হাউসের প্রধান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্থনি ফৌসিও বলেছিলেন, কোভিড ভ্যাকসিন পাকাপাকিভাবে বাজারে আসতে ১২-১৮ মাস সময় লাগবে।

ফৌসির কথার সূত্র ধরেই বিল গেটস জানালেন, সবচেয়ে কম ৯ মাস সময় লাগবে ভ্যাকসিন আসতে। তাঁর বক্তব্য, “ভ্যাকসিন বানাতে যদি ১৮ মাসও সময় লাগে তাহলেও বলতে হবে বিজ্ঞানীরা অনেক দ্রুত কাজ করেছেন। অচেনা এক মারণ ভাইরাসকে রুখতে তার প্রতিরোধী ভ্যাকসিন বানানো খুব একটা সহজ কাজ নয়।” বিল গেটসের মতে, কোভিড প্রতিরোধী ১১৮টি ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট আশা জাগাচ্ছে।  এদের মধ্যে যেটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল সফল হবে সেটিই আগেই বাজারে চলে আসবে।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে নতুন ধরনের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে পেনসালিভানিয়ার বায়োটেক ফার্ম ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালস। সংস্থার তরফে ইতিমধ্যেই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছে, তাদের গবেষণাকে অনুমোদন করেছে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) । ইনোভিও বায়োফার্মের উদ্যোগে সামিল মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও।  সূত্রের খবর, এই ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গবেষণার কাছে যাবতীয় আর্থিক অনুদান দিয়েছে বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস। মাইক্রোসফট কর্তা বলেছেন, ডিএনএ ও আরএনও দু’রকম ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট নিয়েই গবেষণা চলছে। এই মুহূর্তে কিছু বলা কঠিন, তবে খুব তাড়াতাড়ি সাফল্য মিলবে বলেই আশা করা যায়।

কোভিড ভ্যাকসিন ৭০ শতাংশও যদি কাজ করে সেটাই অনেক, বলেছেন বিল গেটস। তাঁর মতে, ৭০% সাফল্য এলেও বিশ্বে অতিমহামারী ঠেকানো যাবে।

মানুষের শরীরে এখনও অবধি কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করেছে মার্কিন বায়োটেকনোলজি ফার্ম মোডার্না এবং ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। মোডার্নার এমএরএনএ ভ্যাকসিন ও অক্সফোর্ডের কোভিড ভেক্টর ভ্যাকসিন এখনও ভরসার তালিকায় আছে। অক্সফোর্ডের ভাইরোলজিস্ট সারা গিলবার্ট আগেই বলেছেন তাদের বানানো ভ্যাকসিন ৮০% কাজ করবে মানুষের শরীরে। অক্সফোর্ডের ভেক্টর ভ্যাকসিন ভারতে বানাচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরাম সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন মানুষের উপর ট্রায়াল সফল হলে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে এই ভ্যাকসিন। বছর শেষের আগেই ৬ কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন বানিয়ে ফেলবেন তাঁরা।

Previous articleএই প্রথম মারুতি সুজুকির ইতিহাসে রেকর্ড,এক মাসে ১টি গাড়ি বিক্রি হয়নি
Next articleআরজিকরে ছাদ থেকে পড়ে মৃত তরুণী চিকিৎসক, অনুমান আত্মহত্যা তদন্তে নেমেছে পুলিশ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here