দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এ এক ‘অনন্য নজির’। স্বাধীনতার পর এমন ঘটনা খুবই বিরল তা হলপ করে বলা চলে।
সিবিআই-কলকাতা পুলিশ সংঘাতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপি সাংসদরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্ত করতে গিয়েও যেভাবে সিবিআই আধিকারিকদের কলকাতা পুলিশ বাধা দিয়েছে, হেনস্থা করেছে, থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে রেখেছে তা অভূতপূর্ব, এমনটাই মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সাংবিধানিক কাঠামোই ভেঙে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ইতিমধ্যে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে।
সিবিআই-কে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ব্যবহারের অভিযোগ তুলে গোড়া থেকেই সংসদে সরব ছিলেন তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ বিরোধী সাংসদরা। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছেন, ‘এই পরিস্থিতি দুর্ভাগ্যজনক, নজিরবিহীন, অভূতপূর্ব। সাংবিধানিক কাঠামো এবং গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।’
তবে যে আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না তা হল রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের ভ্রূকুটি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে যে কথা বারবার বলছিলেন। মমতা আশঙ্কা করছিলেন যে বিজেপি সরকার লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় অরাজকতা তৈরি করে ৩৫৬ নং ধারা লাগু করে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। গতকাল মুখ্যসচিবের কাছে যে জবাবি চিঠি আসার কথা ছিল তা এসে পৌঁছেছে রাজ্যপালের কাছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা যে অমূলক নয় তা বলাই বাহুল্য।
কিন্তু কেন ৩৫৬ নং ধারা প্রয়োগ করার প্রয়োজন হতে পারে, এ বার সেই দিকে একটু নজর দেওয়া যাক। ভারতীয় সংবিধানের ৩৫৬ নং ধারার আসল অর্থ হল অভ্যন্তরীন জরুরী অবস্থা জারি করা। সংবিধান বলছে, “কোনও রাজ্যে যদি শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা দেখা যায় তাহলে উক্ত রাজ্যের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যপালের রিপোর্টের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি উক্ত রাজ্যে সরকার ভেঙে দিয়ে শাসনভার নিজের হাতে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে রাজ্যপালকেই রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসাবে রাজ্য পরিচালনা করতে হবে।” তবে এই অচলাবস্থা বলতে কী বোঝায় বা কতদিন চলতে পারে তা সম্পর্কে সংবিধানে বিস্তারিত ব্যাখ্যা নেই।
রাজ্যে শাসনতান্ত্রিক জরুরী অবস্থা সৃষ্টির জন্য অনেক রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দল শাসিত রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করছে— এমন ঘটনাও বিরল নয়। রাষ্ট্রপতি শাসন মানেই রাজ্যপালের পরিচালনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীই রাজ্যের আইন ও প্রশাসনের কাজ করবে। জরুরি অবস্থা চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক দলই নিজেদের ইচ্ছামত সভা, মিছিল করতে পারবে না।
তবে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমতাবল রাজ্যের আমলারা অন্যায়ভাবে ভোগ করে। জরুরী অবস্থা চালু হলে নাগরিকের সুযোগ-সুবিধা ও মৌলিক অধিকার কতটা সুরক্ষিত থাকবে তাতে যে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যায়।
তবে বাংলায় এখনও সেই পরিস্থিতি আসেনি। পুলিশ আধিকারিককে সিবিআই জেরা থেকে বাঁচাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যেই ধর্নায় বসতে পারেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আবার যদি তৃণমূল নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নায় বসে থাকেন তাহলে রাজ্যের অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা ওই ধর্নায় কিভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন সেটা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছেও স্পষ্ট নয়। তিনিও এই বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন। এই দুই যুক্তির টানাপোড়েনে রাজ্য সরকার না কি সিবিআই কে স্বস্তি পাবে, তা সময়ই বলবে।
সিবিআই-কে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ব্যবহারের অভিযোগ তুলে গোড়া থেকেই সংসদে সরব ছিলেন তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ বিরোধী সাংসদরা। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছেন, ‘এই পরিস্থিতি দুর্ভাগ্যজনক, নজিরবিহীন, অভূতপূর্ব। সাংবিধানিক কাঠামো এবং গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।’
তবে যে আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না তা হল রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের ভ্রূকুটি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে যে কথা বারবার বলছিলেন। মমতা আশঙ্কা করছিলেন যে বিজেপি সরকার লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় অরাজকতা তৈরি করে ৩৫৬ নং ধারা লাগু করে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। গতকাল মুখ্যসচিবের কাছে যে জবাবি চিঠি আসার কথা ছিল তা এসে পৌঁছেছে রাজ্যপালের কাছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা যে অমূলক নয় তা বলাই বাহুল্য।
কিন্তু কেন ৩৫৬ নং ধারা প্রয়োগ করার প্রয়োজন হতে পারে, এ বার সেই দিকে একটু নজর দেওয়া যাক। ভারতীয় সংবিধানের ৩৫৬ নং ধারার আসল অর্থ হল অভ্যন্তরীন জরুরী অবস্থা জারি করা। সংবিধান বলছে, “কোনও রাজ্যে যদি শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা দেখা যায় তাহলে উক্ত রাজ্যের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যপালের রিপোর্টের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি উক্ত রাজ্যে সরকার ভেঙে দিয়ে শাসনভার নিজের হাতে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে রাজ্যপালকেই রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসাবে রাজ্য পরিচালনা করতে হবে।” তবে এই অচলাবস্থা বলতে কী বোঝায় বা কতদিন চলতে পারে তা সম্পর্কে সংবিধানে বিস্তারিত ব্যাখ্যা নেই।
রাজ্যে শাসনতান্ত্রিক জরুরী অবস্থা সৃষ্টির জন্য অনেক রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দল শাসিত রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করছে— এমন ঘটনাও বিরল নয়। রাষ্ট্রপতি শাসন মানেই রাজ্যপালের পরিচালনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীই রাজ্যের আইন ও প্রশাসনের কাজ করবে। জরুরি অবস্থা চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক দলই নিজেদের ইচ্ছামত সভা, মিছিল করতে পারবে না।
তবে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমতাবল রাজ্যের আমলারা অন্যায়ভাবে ভোগ করে। জরুরী অবস্থা চালু হলে নাগরিকের সুযোগ-সুবিধা ও মৌলিক অধিকার কতটা সুরক্ষিত থাকবে তাতে যে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যায়।
তবে বাংলায় এখনও সেই পরিস্থিতি আসেনি। পুলিশ আধিকারিককে সিবিআই জেরা থেকে বাঁচাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যেই ধর্নায় বসতে পারেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আবার যদি তৃণমূল নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নায় বসে থাকেন তাহলে রাজ্যের অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা ওই ধর্নায় কিভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন সেটা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছেও স্পষ্ট নয়। তিনিও এই বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন। এই দুই যুক্তির টানাপোড়েনে রাজ্য সরকার না কি সিবিআই কে স্বস্তি পাবে, তা সময়ই বলবে।