দেশের সময়, বনগাঁ: কাঠমানির অভিযোগ উঠল এবার বনগাঁর তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে সোমবার বনগাঁর কয়েক শ’ ই রিকশা চালক পুলিশ সুপারের কাছে মিছিল করে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিলেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কাটমানির বিষয়ে বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ বারবার আসছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে তার প্রভাব পড়েছে। এ ব্যাপারে দিন কয়েক আগে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেন। তার পরেই বিভিন্ন দিক থেকে চাপ তৈরি হয়েছে।
এরই মধ্যে সোমবার বনগাঁর কয়েক শ ই রিকশা চালক পুলিশ সুপারের অফিসে বিক্ষোভ দেখান। সেই কপি তারা মহকুমা শাসক এবং মহকুমা পুলিস আধিকারিকের কাছে পাঠান। পাশাপাশি তারা নিজেদের দাবির সমর্থনে বাটার মোড় অবরোধ করেন। স্মারকলিপিতে তারা অভিযোগ করেছেন ই রিক্সা কেনার নাম করে তাদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয়েছে তার কোন রশিদ দেওয়া হয়নি।
এমনকি বাসন্তী কোম্পানির যে রিকশা দেওয়া হয়েছে তার জন্য প্রতি টোটো চালকের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে তারও কোন কাগজ নেই। এছাড়া বিভিন্ন অজুহাতে এবং দৈনিক প্রত্যেকের কাছ থেকে টাকা তোলা হতো। এটারও কোন হিসেব নেই। এই ভাবে গত কয়েক বছরে তৃণমূল পরিচালিত ইউনিয়ন এর কয়েকজন নেতা কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে তাদের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে তারা বনগাঁ পৌরসভার প্রধান তথা বনগাঁ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর আঢ্যর দিকে আঙুল তুলেছেন। এর পাশাপাশি অভিযোগপত্রে তারা শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও টোটো ইউনিয়নের সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ এবং ইউনিয়ন এর সম্পাদক দীপঙ্কর ঘটক, রোড সম্পাদক উত্তম দত্ত, লাইনম্যান ভোলানাথ দাস এর বিরুদ্ধেও কাঠ মানি হাতানোর অভিযোগ তুলেছেন।
তিন দিনের মধ্যে এই কাঠ মানি ফেরত দেওয়ার দাবি তুলেছেন টোটো চালকেরা। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে প্রসেনজিৎ ঘোষ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে এ ব্যাপারে বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল বলেন, গরিব মানুষের টাকা যেভাবে তৃণমূল নেতারা আত্মসাৎ করেছেন অবিলম্বে সেই টাকা ফেরত দেওয়া উচিত।