কলকাতায় শুভেন্দুর পোস্টার,এরপর কোথায়?প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে

0
958

দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: এতদিন ব্যানার পোস্টার ফ্লেক্স পড়ছিল জেলায় জেলায়, কিন্তু এবার জেলার গণ্ডি পেড়িয়ে একেবারে খাস কলকাতায় শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া পোস্টার। আর যার জেরে শুভেন্দুকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতির চাঞ্চল্য নতুন এক মাত্রা পেল। শনিবার  কলকাতার শ্যামবাজার চত্বরে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া পোস্টার। তাতে লেখা, “বিনম্রতায় হও অবনত, প্রতিবাদ ঠিক হবে তত উদ্ধত। মধুলোভী করে ক্ষমতা মিছিল, তুমি ছুঁড়ে দাও মৌচাকে ঢিল। দেহরক্ষীর ঘেরাটোপে ওরা শুধু আজ গদি আগলায়, তুমিই আবার সূর্য জ্বেলেছো, সকাল আনবে বাংলায়।” যদিও কে বা কারা ওই পোস্টার কলকাতার শ্যামবাজারের মত জায়গায় লাগিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। 

বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্ক নিয়ে কানাঘুসো শোনা যাচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। একদিকে যেমন দলের কর্মসূচিতে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে, ঠিক তেমনই তাঁর মঞ্চেও সেভাবে চোখে পড়ছে না দলীয় পতাকা। তিনি অন্য দলে যোগ দিতে পারেন এমন কথাও বলছেন কেউ কেউ। যদিও এই বিষয়ে বিভিন্ন সময় নরমে গরমে নানান বার্তা দিলেও এখনও ঝেড়ে কাশেননি শুভেন্দু। বরং সম্প্রতি তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা ছিল,”মুখ্যমন্ত্রী আমায় তাড়াননি, আমিও দল ছাড়িনি।”

অন্যদিকে আবার শুভেন্দুর প্রসঙ্গে তৃণমূল কার্যত দ্বিমুখী কৌশল নিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একদিকে শুভেন্দুর সঙ্গে একপ্রকার বাকযুদ্ধে নামতে দেখা গেছে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে আবার আলোচনার মাধ্যমে দূরত্ব মিটিয়ে নেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূলের কিছু নেতা। এমনকি ইতিমধ্যে দলের এক সাংসদের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়া অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের বরফ গলাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরও। যদিও শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা হয়নি পিকের। আর এসবের মাঝেই শহর কলকাতায় শুভেন্দু পোস্টার। তাহলে এই ধরনের পোস্টর কি আগামিদিনে কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে যাবে, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।

Previous article২৩টি জেলার ২৬০ জন যুব তৃণমূলকর্মী সকাল থেকে তৃণমূল ভবনের সামনে ধর্নায় বসে কিন্তু কেন?তা শুধু দিদিকেই বলব..
Next articleবলিউডে মাদক-কাণ্ডে জেরার পর কমেডিয়ান ভারতী সিং-কে গ্রেফতার করল এনসিবি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here